বিশেষ প্রতিনিধি
চাঁদার টাকার জন্য চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা মৎস্য ব্যবসায়ী কাজী হাসিবকে মারপিট করে তার কাছ থেকে ১লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে বাকী টাকার জন্য হামলা চালিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে, যশোর শহরের রায়পাড়া সার গোডাউন মোড়ের নূর ইসলাম ওরফে নূরুর ছেলে শরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম,মৃত রোস্তম মাতুব্বরের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নূরু,বাহাদুরের ছেলে রিদয় ও আলী মিয়ার ছেলে বাপ্পীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতালের পাশের্^ তৌহিদ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ ফয়জুন্নাহা বাদি হয়ে আদালতের পিটিশন কোতয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ১২ টায় মামলা হয়। মামলায় বাদি বলেন,তার ছেলে কাজী হাসিব ও কাজী রাকিব হোসেন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাতে মৎস্য ব্যবসা করে আসছে। উল্লেখিত আসামীরা বাদির ছেলে হাসিবের নিকট ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। বাদির ছেলে হাসিব শান্তির লক্ষ্যে আসামীদেরকে বিগত ২ মাস পূর্বে হাতে পায়ে ধরে আসামীদের দাবিকৃত চাঁদার মধ্যে ১লাখ টাকা নগদ দিয়ে ক্ষমা চাইলে আসামীরা বাকী ৪লাখ টাকা ১ মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা বলে। না দিলে এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে দেবেনা বলে হুশিয়ারী করেন। বিষয়টি হাসিব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ৩ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭ টায় বাদির ছেলেকে আলতাবের মোড় এ্যাডভোকেট আব্দুল গফুরের বাড়ির সামনে গলির মুখে পেয়ে গতিরোধ করে বাকী ৪লাখ টাকা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা মারপিট করে ধারালো অস্ত্র লোহার রড দিয়ে হাসিবকে মারপিট করে পকেটে থাকা নগদ ৪৫ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা গলায় থাকা ১ভরি স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। বাদির ছেলে হাসিব ডাক চিৎকার দিলে আসামীরা অস্ত্র উচিয়ে হুমকী প্রদর্শন করে বলে দাবিকৃত সম্পূর্ন চাঁদার টাকা ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে বাদির পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে। বাদির ছেলেকে খুন করে ফেলবে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হাসিবকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থা অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসকগন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য রেফার্ড করে। বাদি ছেলেকে খুলনায় ভর্তি করতে না পেরে পুনরায় ৪ জানুয়ারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করলে বাদি আদালতের স্মরনাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে থানা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মামলা গ্রহন করেন।#