পরকীয়া প্রেমের কারণে খুন হয় যশোরের ব্যাবসায়ী জহিরুল

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?
যশোর প্রতিনিধি 
যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম ত্রিভুজ প্রেমের কারনে খুন হয়েছেন। ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ পরকীয়া প্রেমিক শফিকুল ইসলাম তাকে হত্যা করে। এঘটনায় আটক শফিকুল ও তার সহযোগি মামুন হোসেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির কাছে হত্যার দ্বায় স্বীকার করেছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
তথ্য মিলেছে, গত ১১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টায় সময় মনিরামপুর নেহালপুরগামী বাটবিলা পাকা রাস্তা বিলের পাশ থেকে উদ্ধার হয় গোবিন্দপুরের খোরশেদ সানার ছেলে কোনাকোলা বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের (৫২) মরদেহ। ওই দিনই মরদেহ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা পুলিশ। কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও গলায় আঘাত করে জহিরুলকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওইদিনই অজ্ঞাত আসামি করে নিহতের স্ত্রী সাইফুর নাহার মনিরামপুর থানায় মামলা করেন, যার নাম্বার ১০ হত্যকান্ড ঘাটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের শনাক্ত করে দুদিনের মধ্যে। এরপর ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে মনিরাপুরের শ্যামনগর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি। এসময় ঘটনায় জড়িত ২ সদস্যকে আটক করাসহ হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো কুড়াল, মোটরসাইকেল ও আসামিদের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল উদ্ধার করে। আটককৃতরা হচ্ছে শ্যামনগররের হাবিবুর মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩) ও একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন (২৩)
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল জানিয়েছে, ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের টিউবওয়েলের ব্যবসা আছে কোনাকোলা বাজারে। শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের (৩৩) সাথে বর্তমানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জহিরুল। এর আগে মর্জিনা বেগম দীর্ঘদিন আটক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সাথে পরকীয়া করে আসছিলেন। জহিরুলের সাথে বর্তমানের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ঘটনাটি সম্প্রতি শফিকুল জানতে পারলে মর্জিনা বেগমের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয় এবং দুরত্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে মর্জিনা শফিকুলকে গালমন্দও করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম অপমানের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আর ঘটনার দিন সহযোগি মামুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকেন। ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় সময় কোনাকোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জহিরুরের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। দাঁড় করিয়ে ধারালো কুড়ালের আঘাতে হত্যা করে মরদেহ ও মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এঘটনায় মর্জিনাকেও থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে।