বিশেষ প্রতিনিধি
জমি জায়গা নিয়ে এবার ছেলের ধারালো কুড়ালের কোপে মাতা মুরশিদা বেগম (৫১) রক্তাক্ত জখম ও পিতা আব্দুল মজিদ মোল্যা (৭১) জখম করে ভাংচুর করে নগদ সাড়ে ৬লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি গত ১৬ ডিসেম্বর সোমবার রাতে যশোর সদর উপজেলার ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের ঘুনি গ্রামে। গ্রেফতার আসামী আব্দুস সেলিমকে পুলিশ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর সকালে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, আহত পিতা মাতার মেয়ে সানজিদা খাতুন।
মামলায় মেয়ে উল্লেখ করেন, আব্দুস সেলিম সৎ ভাই। সে পর সম্পদ লোভীসহ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এবং বাদির পিতা মাতা একই বাড়িতে পাশাপাশি বসবাস করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর রাত অনুমানিক ৩ টার সময় বাদির বৃদ্ধ পিতা মাতা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় পারিবারিক ও জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত আসামী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পিতার ঘরে ঢুকে বাদির মাতা মুরশিদা বেগমকে ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকের বাম পাশে পাজরে স্বজরে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং পিটে একাধিক আঘাত করে জখম করে। তখন বৃদ্ধ পিতা আব্দুল মজিদ মোল্যা ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট শুরু করে। পিতাকে গলা চেপে শ^াস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আসামী দরজা ভেঙ্গে ৩ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এসময় ঘরের তোষকের নীচে থাকা নগদ জমি বিক্রির সাড়ে ৬লাখ টাকা নিয়ে নেয়। ওই সময় বাদির পিতার ডাক চিৎকারে বাদি এবং তার স্বামী মোহাইমিন ইসলাম মনির ঠেকাতে গেলে আব্দুস সেলিম তার পিতা মাতাকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই রাতে মুরশিদা বেগমকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাদি থানায় এসে মামলা করার পর ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুস সেলিমকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।