যশোর অফিস
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাকোবা গ্রামের ভ্যান চালক মিন্টু হোসেন হত্যার মামলার প্রধান আসামি বড় সাব্বিরসহ খুনের সাথে জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এবং আসামীদের অব্যাহত হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহতের পরিবার। মঙ্গলবার সকালে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে নিহতের শ্যালক সুমন রহমান বলেন, মিন্টু হত্যার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা তুহিন হাসানের অনুসারী। তুহিন মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করছে। সে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেনের ছোট ভাই। ইতি মধ্যে তুহিন তার বাহিনী দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য মামলার বাদি মিন্টুর বৃদ্ধা মাতা আমেনা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের অব্যাহত ভাবে হুমকি দিচ্ছে। গেল পরশু দিন গভীর রাতে তুহিনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা আমার বোনের বাড়িতে গিয়েও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। মামলার এজাহার থেকে প্রধান আসামি বড় সাব্বির হোসেনের পিতার নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী জেসমিন বলেন, স্বামী হত্যা পরও আমার দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমার স্বামী হত্যার প্রধান আসামি বড় সাব্বির হোসেন তুহিন হাসানের অনুসারী। তুহিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য কখনো আমাকে এবং আমার বৃদ্ধ শশুর শ্বাশুড়িকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে। গভীর রাতে তুহিনের লোকজন আমাদের বাড়ি আশাপাশে ঘোরা ফেরা করছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে তারা আমার এবং সন্তানদের বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে।
মানববন্ধনে নিহতের মা আমেনা বেগমও কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি মা হয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ছেলে হত্যার ঘনটায় আমি বাদি হয়ে মামলা করায় আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা প্রত্যাহারের জন্য তারা আমাকে ভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকির মধ্যে রেখেছে। মানববন্ধনের নিহত মিন্টু হোসেনের ভাই সেন্ট হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন আমাকের কুপিয়ে জখম করে। আমিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখনো বাড়ি ফিরে আমিও নিরাপদ না। মামলা প্রত্যাহার না করলে তারা আবার আমাদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। আসামীরা কারাগারের থাকলেও তাদের আশ্রয়দাতার তুহিন হাসানের লোকজন আমাদেরকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য গেল ২৮ আগস্ট চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী বড় সাব্বিরের নেতৃত্বে মিন্টু হোসেনসহ পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুর জখম করা হয়। একদিন পর মিন্টু হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মৃত্যু বরণ করেন।