পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার সময় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় তাদের স্লোগানে পুরো এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।
শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে যমুনার দিকে যাচ্ছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের সঙ্গে কথা না বলে বাধা দেয় এবং আমাদের একজনকে গলা চেপে ধরে। আমরা যখন মাইকে শিক্ষার্থীদের শান্ত হতে বলি, তখন তারা আমাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি বা অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ পূরণের জন্য ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া যারা নিজেদের প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।