যশোরে নারীর সাথে ছবি উঠিয়ে ব্লাকমেইলিং করার অভিযোগে মামলা

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে তুহিন (২৮) নামে এক প্রাইভেটকার চালককে আটকে রেখে মারপিট, নারীর সাথে জোর করে ছবি উঠিয়ে ব্লাকমেইলিং, মুক্তিপণ দাবি এবং টাকা কেড়ে নেয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। তুহিন সদর উপজেলার ভেকুটিয়া শেখপাড়ার আলী হায়দারের ছেলে।

আসামিরা হলো, খালধার রোড বরফকল এলাকার সুমন (২৬), কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার শিলা (১৯), ঘোপ বুড়ির বাগান এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল (২৬), ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আলমগীর হোসেনের ছেলে রেজওয়ান (১৯), মৃত হারুনের ছেলে মাহারাজ (২৮), ঘোপ জেল রোডের উজ্জল (৩০), ঘোপ বেলতলার পাঁচুর ছেলে রানা (২০), ঘোপ বেলতলা বউ বাজার এলাকার আকাশ (২১), আরিফ (২২) এবং নীলগঞ্জ এলাকার রিপন (২৩)। এছাড়াও অজ্ঞাত ২/৩জন রয়েছে।
এজাহারে তুহিন উল্লেখ করেছেন, তিনি শহরের বেজপাড়া দরবেশ বাড়ির প্রাইভেটকার চালক। আসামি সুমনের সাথে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বেজপাড়ায় ছিলেন। সেই সময় সুমন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে এবং কুইন্স হাসপাতালের সামনে যেতে বলে। তিনি একটি রিকসা নিয়ে হাসপাতালের সামনে নামেন। সেখানে আসামি সুমনসহ তার সহযোগিরা ছিলো। কথাবার্তার এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে কুইন্স হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের পলাশের কাঠগোলার মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আসামিরা তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি তার পরিহিত সার্ট খুলে অপর আসামী শিলার সাথে নানা ভঙ্গীতে মোবাইল ফোনের ক্যামরায় ছবি উঠিয়ে রাখে। বলা হয় টাকা না দিলে এই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে। তার কাছে থাকা বেতন বাবদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বাকি টাকার জন্য মারপিট করে। বাধ্য হয়ে তিনি তার শ্যালক সুবজের কাছে মোবাইল করেন। এবং সবুজ আরো ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়। ওই টাকা চাঁদা স্বরুপ নেয়। পরে আরো মারপিট করে। এক পর্যায়ে ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে আসামিরা একটি রিকসায় করে মনিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকায় নিয়ে গিয়ে রিকসা থেকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে তিনি স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করেন।