বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকর্মী সাগর হোসেন তালুকদার (২৯) ও তাঁর সহযোগী মো. স্বপনকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় মুক্তার হোসেন নামের তাঁর আরেক সহযোগীর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। উপজেলার শাবরুল ছোট মন্ডল পাড়া এলাকায় আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সাগরের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে সাগর ও স্বপন হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন অন্তত ১৫-২০ জন। সাগর, স্বপন ও মুক্তার মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এসময় ছোট মন্ডলপাড়ায় একটি মুরগির খামারের সামনে এলে দুর্বৃত্তরা তাদের এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, নিহত সাগর ডজন খানেক মামলার আসামি। স্বপনও একাধিক মামলার আসামি। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন বলেন, সাগর ও স্বপনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়া মেডিকেলে নেওয়া হয়। এসময় পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদসস্যরা হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সাগর তালুকদার। বাড়ি নির্মাণ, জমি কেনা থেকে ব্যবসা সবকিছুতেই চাঁদা দিতে হতো সাগরকে। তার অর্ধশতাধিক সদস্যের একটি বাহিনী আছে।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সাবরুল বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বগুড়া শহরে যাওয়ার পথে মাথাইলচাপড় এলাকায় কলেজশিক্ষক ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহজালাল তালুকদার পারভেজকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। কারাগারে থেকে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগে সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়। দুটি হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজীসহ সাগর অন্তত ১২টি মামলার আসামি ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, শাবরুল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তিনি।