বিশেষ প্রতিনিধি
ইজিবাইকের মধ্যে থেকে সুকৌশলে ব্যাগ কেটে ৬লাখ টাকার মধ্যে ২লাখ টাকা সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত ফসিয়ার রহমানের ছেলে আবুল হোসেন। মামলায় আসামী করেন অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,গত ১০ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী ও পুত্রবধুসহ যশোর শহরের সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় আসেন। ব্যাংকে বাদির একাউন্ট থেকে হজ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৬ লাখ টাকা তোলেন। টাকা তুলে তিনি তার কাছে থাকা কালো রংয়ের ব্যাগের মধ্যে রেখে ব্যাংক থেকে বের হয়ে ব্যাংকের দক্ষিণ পাশ থেকে বেলা ১১ টার সময় সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে ওঠেন। তখন অজ্ঞাতনামা ৩জন ওই ইজিবাইকে ওঠেন। তাদের মধ্যে থেকে ২জন বাদির পাশে বসেন। ইজিবাইকের পিছনে থাকা একটি অটো রিকশায় আরো ২/৩জন বাদি বহনকারী ইজিবাইকের পিছন পিছন আসে। ইজিবাইকটি শহরের গাড়ীখানা সড়কের আলাউদ্দিন টাওয়ারের সামনে পৌছানোর সাথে সাথে ইজিবাইক থেকে উক্ত তিনজন দ্রুত নেমে চলে যায়। বেলা সাড়ে ১১ টার সময় বাদি লক্ষ্য করে দেখেন তার সাথে থাকা কালো রংয়ের ব্যাগের এক পাশ কাটা এবং ব্যাগের চেইন খুলে দেখেন ব্যাগের মধ্যে থাকা ৬লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা নেই। বাদির ধারনা বেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা ব্যাগের এক পাশ কেটে নগদ ২লাখ টাকা চুরি করে সটকে পড়ে। উক্ত ব্যাংক ও আলাউদ্দিন টাওয়ারের আশে পাশে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, অজ্ঞাতনামা আসামীগরা ব্যাংকের ভিতর থেকে বাদি ও তার পরিবারকে অনুসরণ করছিল। এ ব্যাপারে পারিবারিকভাবে আলোচনা করে থানায় মামলা করেন।এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একজনকে সন্দেহ জনকভাবে আটক করে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।