যশোর ও নোয়াখালীর সাবেক দুই এমপি এক পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধানের দুদক

বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর-৬ আসনের সাবেক এমপি এবং যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এবং নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের সঙ্গে রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের এই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন রোববার বলেছেন, দুদকের গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে শাহীন চাকলাদারসহ উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এখন প্রকাশ্যে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক এই এমপি ছিলেন একজন ঠিকাদার, যিনি রাজনৈতিক আধিপত্য কাজে লাগিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার নামে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র চিত্রার মোড়ে যাবির ইন্টারন্যাশনাল নামে ২২ তলা পাঁচ তারকা হোটেল এবং কাঁঠালতলায় হোয়াইট হাউস নামে অট্টালিকা রয়েছে।
এছাড়া, শাহীন চাকলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নামে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং তার স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদসহ মোট ২২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। রাজধানীর বড় মগবাজার, রমনা, ধামনন্ডি, বারিধারা, গুলশান, সিদ্ধেশ্বরীতে বাতেনের ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে পূর্বাচলে প্লট, পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়ছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।