যশোর প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী বিশ্বাস (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে তিনি যশোরের (বেসরকারি)
ইবনে সিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত ইউনুছ আলী বিশ্বাস উপজেলার ২নাম্বার জামাল ইউনিয়নের নাকো বাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর বিশ্বাসের ছেলে ও বিএনপি কর্মী।
মামাতো ভাই মোঃ রিজাউল ইসলাম, জানান, বিএনপির হামিদ গ্রুপ ও ফিরোজ গ্রুপের মধ্যে দলীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১ জুন সকাল ৮/৯ টার দিকে অঙ্কিতের শষান এলাকায় ইউনুছ ও মোহাব্বত দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। মোহাব্বতের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ফরিদপুরে তিন মারা যান। এবং ইউনুছকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বেসরকারী হাসপাতাল ইবনে সিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৫টার দিকে আইসিইউতে তিনি মারা যান। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ইবনে সিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা আসিফ বলেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে বেড় না থাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তিনি মারা যান। তিনি আরো বলেন আমি ছুটিতে আছি পুলিশ সুত্রে তিনি জানতে পেরেছেন। এর আগে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছিল।
এঘটনায় থানায় ৩ জুন মৃত মোহাব্বতের ছেলে ইনামুল বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এঘটনা হত্যা মামলা হয়েছে, এজাহার ভুক্ত ৮ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।