জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জনের মামলা আব্দুর রউফকে অভিযুক্ত করে দুদকের চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি 
জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জনের মামলায় নড়াইল সদর হাসপাতালের সাবেক প্রশাসিনিক কর্মকর্তা আব্দুর রউফকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর। মামলার তদন্ত শেষে যশোর জেলা ও দয়রা জজ আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদুকের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন। অভিযুক্ত আব্দুর রউফ যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামের মৃত মুন্সি আফছার উদ্দিনে ছেলে। তিনি বর্তমানে সদরের পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুর রউফ ১৯৭৮ সালের ৩ জুলাই যশোরের ঝিকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মালি পদে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নড়াইল সদর হাসপাতালে যোগদান ও অবসর গ্রহণ করেন। আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে আয় বর্হিরভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় দুদক তার কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিশ করে। আব্দুর রউফ তার নিজ ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ৩৪টি দলিলে জমি ক্রয়সহ ৪ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭২ টাকার স্থাবর ও ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭০৮ টাকার সম্পদের হিসাব দেন দুদকে। হিসাব বিবরনীর প্রাথমিক তদন্তে আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জনে অভিযোগ মেলায় আব্দুর রউফকে আসামি করে চলতি বছরে দুদক কার্যালয়ে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, দুদকে আব্দুর রউফের দেয়া সম্পদের তদন্ত করে দেখা গেছে নিজ ও তার উপর নিরর্ভশীর ব্যক্তিদের নামে ঢাকায় ফ্লাট, জমি ক্রয়, গ্রামের বাড়িতে বিল্ডিং, যশোর শহরের বেজাপাড়ায় একটি বাড়ি, পুলেরহাটে দুইটি বাড়ি ও নড়াইল লোহাগাড়ায় একটি বাড়িসহ মোট ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়। এরমধ্যে তিনি বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ টাক ঋণগ্রস্থ থাকায় মোট সম্পদের মালিক ৭ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৭ টাকার। আব্দুর রউফরে দেয়া হিসাব থেকে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩৬ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। আব্দুর রউফের পেনশনসহ অন্যান্য খাত থেকে বৈধ আয়ের পরিমান ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার ৭৬৫ টাকা। আব্দুর রউফ ও তার উপর নিরর্ভশীল ব্যক্তিদের বৈধ আয় বাদ দিয়ে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমান দাড়ায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৩২ টাকা। আসামি আব্দুর রউফ নিজ ও তার উপর নিরর্ভশীল ব্যক্তি অবৈধ ভাবে এ সম্পদ অর্জন করে দললে রাখায় তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।