ঢাকা অফিস: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানী ও লক্ষ্মীপুর তিনটি মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা পড়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে এ তিনটি অভিযোগ করা হয় বলে প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান।
অভিযোগ তিনটি করেছেন রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী শাফিক আহম্মেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন, যাত্রাবাড়ীর সাকিব হাসানের বাবা মো. মর্তুজা আলম এবং লক্ষ্মীপুরের ওসমান গণির বাবা মো. আব্দুর রহমান।
গত ৪ অগাস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিতে আহনাফ নিহত হয়। এ অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
যাত্রাবাড়ী ও লক্ষ্মীপুরের হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী কাজলা পেট্রোল পাম্পের পাশে গুলিতে দনিয়া কলেজের বিএ (পাস) এর ছাত্র সাকিব হাসান নিহত হন।
অন্যদিকে ৪ অগাস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনি এলাকায় গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ওসমান পাটওয়ারী ওরফে ওসমান গণি।
সরকার পতন আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাগুলোতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যে ট্রাইব্যুনালটি ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য।
ট্রাইব্যুনালে এক সময় জামায়াত নেতাদের আইনজীবী হিসেবে লড়া তাজুল ইসলামকে প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সংস্থা এবং ট্রাইব্যুনালও পুনর্গঠনের ঘোষণা আছে।
সেই সঙ্গে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থতাকে সাজার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ব্যক্তির পাশাপাশি দোষী সংগঠনের সাজা ঠিক করার বিধানও করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য, শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।