যশোরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০  শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলা

যশোরে প্রতিনিধি
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আদালতে নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৯ মে দিবাগত গভীর রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোর বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) জনাব মোঃ গোলাম কবিরের আদালতে দায়েরকৃত পিটিশন মামলা নং ৮৫/২০২৩,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কোতয়ালি যশোরের আদেশে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম নারী ও  শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নাজিম। মামলায় আসামী করেন, জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিক্কার আলীকে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদির দায়েরকৃত অভিযুক্ত আসামী জুলফিক্কার আলী একজন লম্পট শ্রেনীর ব্যক্তি হচ্ছেন। জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় বাদির মেয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীদের উত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব দেয় বলে বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী যশোরের একটি পত্রিকায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। বাদি আরো উল্লেখ করেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ১ম সপ্তা হতে প্রধান শিক্ষক জুলফিক্কার আলীর কুদৃষ্টি পড়েন বাদির মেয়ের প্রতি এবং জুলফিক্কার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করে দেওয়ার অজুহাতে বাদির মেয়েকে স্কুল ছুটির পর প্রায়ই তার অফিস কক্ষে ডাকতো এবং বাদির মেয়ের হাত মাথা ও গায়ে স্পর্শ করার চেষ্টা করতো।  স্কুল ছুটি হলে বাদির মেয়েকে তার অফিস কক্ষে ডেকে ইংরেজী  সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ইংরেজী বই খুলতে বলে এবং পড়া দেখানোর ছলে জুলফিক্কার আলী যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে হঠাৎ করে শিক্ষার্থীর বাম স্তনে চাপ দিয়ে ধরে এবং জোর পূর্বক বুকে জড়িয়ে শিক্ষার্থীর ঠোনে চুম্বন দেয়। বাদির মেয়ে ধস্তাধস্তি করে নিজকে কোন মতে রক্ষা করে দ্রুত বাড়িতে চলে যেয়ে তার পিতা মাতাকে জানাই। বাদি এলাকার রশিদুল হক চানুর ছেলে শহিদুল হক রিপনকে সাথে নিয়ে ওই দিন বিকেল ৩ টায় প্রধান শিক্ষক জুলফিক্কার আলীর বাড়িতে যেয়ে এহেন ঘৃন্য আচারণ করবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামী সদোত্তর না দিয়ে বাদিকে টাকা পয়সা নিয়ে মিমাংসা করার প্রস্তাব করে। বাদি দুঃখ  ভরাক্রান্ত নিয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। বাদি আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।#