যশোর প্রতিনিধি
দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত পট ব্যবহার করে যশোর শহরের মণিহার (খুলনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা)আরএনরোড,ঢাকা রোড মোল্লাপাড়া,রাজারহাট বকচর এলাকায় গড়ে উঠেছে ভেজাল মোবিল কারখানা।যশোর জেলা ছাড়াও আশপাশ জেলায় বিভিন্ন মোটর সাইকেল গ্যারেজ ও কারখানা থেকে পোড়া মোবিল সংগ্রহ করে জ¦ালিয়ে তৈরী করা হয় আসল মোবিল। তাদের উৎপাদিত ভেজাল মোবিল দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর খালি পটে ভরে মেশিনের মাধ্যমে পটের মুখের কর্ক লাগিয়ে আসল মোবিল হিসেবে বাজার জাত করছে। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সহযোগীতায় পুলিশ একটি ভেজাল মোবিল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের বিভিন্ন মোবিল পট উদ্ধার করে। পরে উক্ত গোডাউনের মালিককে ১লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভ্রাম্যমান আদালতে শাস্তি ভোগ করে উক্ত ভেজাল কারবারি সাগরসহ ভেজাল মোবিল কারবারীরা তাদের ব্যবসা জমপেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানাগেছে,যশোর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জিসান অটো নামে একটি মোবাইল বিক্রির দোকান রয়েছেন। উক্ত দোকানের মালিক আব্দুর রহিম। তিনি শহরের বেজপাড়া গুরগোল্লার মোড় এলাকা ভেজাল মোবিল কারখানায় তৈরী করছেন মতুল,ইয়ামা,বাজাজ,টিভিএস,সুপার ভি,সুপার ফোর্টিসহ দেশী বিদেশী কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত মোবিল পট তৈরী করে তাতে তার গোডাউনে উৎপাদিত পোড়া মোবিল থেকে সৃষ্টি মোবিল পুরে অবাধে বিক্রি করছে। আব্দুর রহিমের ন্যায় শহরের মোল্লাপাড়া এলাকার শরিফুল শহরের আরএনরোড এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে বিক্রি করছে ভেজাল মোবিলের পট। তার মোল্লাপাড়া বাঁশতলা এলাকায় মোবিল উৎপত্তির গোডাউন রয়েছেন।সূত্রগুলো আরো বলেছেন,শহরের আরএনরোড এলাকার ছোট সেলিমের ডাম্পার ও গিয়ার অয়েলের গোডাউন রয়েছেন পিকনিক কর্ণর এলাকায়। সে পোড়া মোবিল দিয়ে মোটর সাইকেল ও বিভিন্ন ইঞ্জিনের ডাম্পার ও গিয়ার অয়েল তৈরী করে তা নামীদামী কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত পট তৈরী করে তাতে পুরে বাজার জাত করছেন।শহরের মোল্লাপাড়ার ভিতরে স াগরের গোডাউন রয়েছেন। যেখানে প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভেজাল মোবিল।শহরের আরএনরোড এলাকায় দেলোয়ারের জয়েন্ট অটো নামে একটি দোকান রয়েছেন। যে দোকানে সে ভেজাল মোবিল বিক্রি করেন। তার ভেজাল মোবিল তৈরীর কারখানা রয়েছেন শহরের মোল্লাপাড়া সিটি কলেজ পাড়া এলাকার ব্যাটারীপট্টির মধ্যে। সূত্রগুলো বলেছে,শহরের বকচর বিহারী কলোনী ভেজাল মোবিল কারবারী বড় সেলিমের বাড়ির পশ্চিম পাশের বাসিন্দা মুর্শিদ ও টিপু ভেজাল ডাম্পার অয়েল,হাইড্রোলিক,গিয়ার অয়েল তৈরী করে তা পটের মধ্যে পুরে আসল দাবি করে বিক্রি করছেন। শহরতলী চাঁচড়া তফসী ডাঙ্গা এলাকার পল্লী বিদ্যুতের অসাধু কারবারীর কাছ থেকে ট্রান্স মিটারের তৈল স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে মুর্শিদ ও টিপু ভেজাল ডাম্পার,হাইড্রোলিক ও গিয়ার অয়েল তৈরী করছে। সেগুলি দেশ ও বিদেশী কোম্পানীর পট ও মোড়ক সংগ্রহ করে তাকে পুরে বিক্রি করছে।এছাড়া,শহরের বচকর প্লাস্টিক বদনা ফ্যাক্টরীর সানির ঘর ভাড়াটিয়া আনোয়ার তৈরী করছেন হাইড্রোলিক,ডাম্পার অয়েল। যা বিভিন্ন পট ও টিনের কৌটায় ঢুকিয়ে বাজার জাত করছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলেছেন,শহরের বকচর বিহারী কলোনীর বাসিন্দা চিহ্নিত ভেজাল মোবিল কারবারী ভেজাল বড় সেলিম তার বাড়ির পাশে তৈরী করেছেন গোডাউন। সে বাড়ির পাশে নিজস্ব জায়গায় গড়ে উঠা গোডাউনে পোড়া মোবিল জ¦ালিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে তৈরী করছেন রিফাইন মোবিল। এছাড়া, সে রাজারহাট ব্র্যাক অফিসের পাশে ডায়মন্ডব্রান্ড নামে গোডাউন তৈরী করে সেখানে ভেজাল কারবার চালাচ্ছে। সূত্রগুলোর অভিমত,মুড়োলীর জাকির ও শাহজাহান মূলত যশোরের বিভিন্ন মোটর সাইকেল গ্যারেজ থেকে ব্যবহার হওয়া মোবিলের খালিপট সংগ্রহ করে সেগুলি মোবিল পটের উপযোগী তৈরী করে ভেজাল মোবিল কারবারীদের কাছে বিক্রি করছেন। অপর একটি সূত্রে বলেছেন,সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর বালিয়া ডাঙ্গা এলাকার নাজিম ভেজাল মোবিল কারবারীদের একজন সক্রিয় সদস্য। সে ভেজাল মোবিল তৈরী করে দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর নামিদামী পটে পুরে বাজার জাত করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশ তাদের দায়িত্ব থেকে পিছুপা হওয়ায় এসব ভেজাল কারবারীরা বেপরোয়াভাবে তাদের ভেজাল কারবারী চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ভেজাল কারবারীরা এখন বিএনপি’র নেতা,কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের ব্যবসা শুরু করেছেন। পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরিবেশ বিনষ্টকারী ভেজাল মোবিল তৈরী করে এক দিকে পরিবেশের ক্ষতি করছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে ভেজাল মোবিল,গিয়ার,হাইড্রোলিক,ডাম্পার অয়েল বিক্রি করে মোটর সাইকেলসহ যানবাহনের মালিককে ক্ষতির মুখে ফেলছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।