নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহতদের ‘শহীদ’ ঘোষণা, ১০ লাখ রুপি সহায়তা

Share

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘সিংহ দরবার’-এ দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি লাইনচৌড়ের শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্কি জেন-জি আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে সহায়তা দেওয়ার নথিতে স্বাক্ষর করেন। একই সঙ্গে নিহতদের ‘শহীদ’ ঘোষণা করেছে সরকার। খবর দ্য হিমালয়ন টাইমস ও এনডিটিভির।

এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ১৩৪ জন বিক্ষোভকারী এবং ৫৭ জন আহত পুলিশ সদস্যের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে আন্দোলনের সময় সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। এর মধ্যে ৫৯ জন বিক্ষোভকারী, ১০ জন বন্দি এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

নেপালে গত সপ্তাহে জেন-জি আন্দোলন প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নেয়। কিন্তু এর রেশ শুরু হয়েছিল আরও আগে থেকে। হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশটিতে দারিদ্র্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও কর্তাব্যক্তিদের সন্তানদের বিদেশে ভোগবিলাস ও রাজকীয় জীবন-যাপন ক্ষোভ তৈরি করছিল।

এসব নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মগুলোতে সমালোচনা ও নিন্দা হতে থাকে। এর সঙ্গে প্রকাশ হতে থাকে সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভও।

কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করে। এই পদক্ষেপ বুমেরাং হয়। উল্টো রাস্তায় নামেন প্রতিবাদকারীরা। তারা ৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে সেদিনই ১৯ জন নিহত হন। যদি তা এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে।

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। শেষ পর্যন্ত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগে বাধ্য হন।

এরপর আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল। সেই রাতেই শপথ নেন কার্কি।

Read more