ঢাকা টাওয়ার ডেস্ক :
বাংলাদেশ সরকারের নথি পএ গায়েব করে (১৪৬) কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে ঢাকা কর অঞ্চল-৫ এর কর কমিশনার, আবু সাঈদ মো. মুস্তাক সহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত কালকে সংস্থাটির কমিশন সভায় এই মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়, অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন কর অঞ্চল-৫ এরই অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবীর এবং উপকর কমিশনার লিংকন রায়।
বিকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ / ২০২১-২২ করবর্ষে ধামশুর ইকোনমিক জোন লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির বিপরীতে কর দাবির পরিমাণ ছিল মোট ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, কিন্তু কর্মকর্তা বদলিতে নতুন কর্মকর্তা নথিতে কর নির্ধারণী আদেশ পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে কর দাবির পরিমাণ কমিয়ে যথাক্রমে শূন্য টাকা ও ১ হাজার টাকা করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে সরাসরি সহায়তা করেন।
শুধু তা-ই নয়, মূল কর নির্ধারণী আদেশের নথিও গায়েব করে দেওয়া হয়, যা দুদকের অভিযানে খুঁজে পাওয়া যায়নি, এরই আগে গত ৯ জুলাই নথিপত্র গায়েব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৫ থেকে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কর ফাঁকির ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় (দুদক)।
ওই অভিযানে ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, এই দিকে কর ফাঁকির অভিযোগে গতকাল কর অঞ্চল-৫ এর উপকর কমিশনার লিংকন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
(এনবিআর) চেয়ারম্যান, মো. আবদুর রহমান খান সই করা একটি চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, তার বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, লিংকন রায় উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিটে কর্মরত থাকাকালে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ করবর্ষের নিষ্পত্তিকৃত আয়কর মামলার নতুন আদেশপত্রে নতুন কর দাবি সৃষ্টি করে সরকারের ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা রাজস্ব ক্ষতিসাধন করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
— ঢাকা টাওয়ার নিউজ (২৪) ~ অনলাইন