যশোরে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আ: লীগ সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে যা বল্লেন

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা একেবারেই সাজানো বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। আসাদুজ্জামান গং নিজেরাই এস্কেভেটর এনে বাড়ি ভাঙচুর করে নানা কল্পকাহিনী সাজিয়ে তাকে ও তার ছেলে পিয়াসের নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। তিনি ওইদিন ঘটনাস্থলে থাকা দুরের কথা, শহরের চৌরাস্তা এলাকা পার হয়েছেন এমন প্রমাণ যদি কোনো সাংবাদিক দিতে পারেন তাকে ২০ লাখ পুরস্কার দেবেন। একইসাথে ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস ওইদিন ঘটনাস্থল এলাকায় ছিলেন এমন প্রমাণ করতে পারলে আরো ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এছাড়া আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলের জমি ও বাড়ির এক শতকেরও যদি কাগজপত্র দেখাতে পারেন, সেখানেও ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এএসএম হুমায়ূন কবীর কবু, অধ্যক্ষ হারুণ অর রশিদ, ফিরোজ খান ও বিরোধীয় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক দাবিদার নুর মোহাম্মদ, নূরুল ইসলাম মাস্টারসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, কার্যত তিনি ওই জমির কোনো পার্ট নন। তার আত্মীয় নূরুল ইসলাম ও নুর হোহাম্মদ ওই জমির প্রকৃত মালিক এবং তারা খাজনা ট্যাক্স দিয়ে চলেছেন। আর আসাদুজ্জামান ভূমিদস্য। বয়বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম মাস্টার ও নুর মোহাম্মদের পরিবারের লোকজনকে হেনস্তা করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন জবর দখলে আছে। ঘটনার ব্যাপারে তার ও তার ছেলের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় এমকি থানা পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়েছে। মিথ্যাচারের একটি শেষ থাকে। আসাদুজ্জামান পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এটা ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য কিংবা সন্তান জুড়ে দিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচেছ। সম্প্রতি যশোরের অনেক মুক্তিযোদ্ধা ওই সম্পত্তি থেকে আসাদুজ্জামান গংকে উচ্ছেদ করে নূরুল ইসলাম ও নুর মোহাম্মদকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বিবৃতিও দিয়েছেন।