নরসিংদী টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে বজ্রপাতে সাত জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শেষে শনিবার (১৮ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টির ছোঁয়ায় জনজীবনে নামার পাশাপাশি কিছু মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। তিন জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭ জন। এদের মধ্যে ৪ জনই মারা গেছে নরসিংদীতে। এছাড়া, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুইজন ও গাজীপুরে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, শনিবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে বজ্রপাতে মারা যান তিনজন। নিহতরা হলেন, আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহত সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা মাঠে ধান কাটছিলেন বলে জানা গেছে। পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহ উদ্দিন (৫০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, নিহতরা সকলেই মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন।

এদিকে, সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে দুই কৃষকের। তারাও মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। নিহতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চৌদ্দপুর গ্রামের আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন। নিহতরা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা কালিহাতী উপজেলার নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত মিয়ার ধান কাটার জন্য গত এক সপ্তাহ আগে এসেছিলেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলার বীবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব মিয়া বলেন, নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলেই আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

অপরদিকে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার নামে এক নারী মারা গেছেন। তিনি গলদাপাড়া গ্রামের মো. নূর হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, ফাতেমা আক্তার সকালে তার নানার বাড়িতে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এসময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. তানসেন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতে নিহত ফাতেমার শরীরের বামপাশ ঝলসে গেছে।