যশোরের হুশতলার মৃন্ময় আমার স্বামী আমি আমার সংসার ফেরত চাই

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরের হুশতলা এলাকার বাসিন্দা মৃন্ময় কুন্ডু নারায়ণগঞ্জের একটি মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ২০২২ সালের প্রথম দিকে মৃন্ময় কুন্ডু ধর্মান্তরিত হয়ে তপু হোসেন নাম ধারণ করে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেন এবং নারায়ণগঞ্জে একসাথে বসবাস করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে মৃন্ময়ের চাপে বাধ্য হয়ে সন্তানটি নষ্ট করে ফেলেন তিনি। এরপর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যান মৃন্ময়। স্বামীর খোঁজে যশোরে এসে মেয়েটি জানতে পারেন, হুশতলায় প্রতিবেশি একটি হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে দিব্যি সংসার পেতে বসেছেন মৃন্ময় কুন্ডু। বিয়ের কাবিননামা ও তাদের ঘনিষ্ট মুহুর্তের অসংখ্য ছবি নিয়ে মেয়েটি গত ১৫ এপ্রিল মৃন্ময়দের হুশতলার বাড়িতে গেলেও তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃন্ময় এখন ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা, এমনকি বিয়ের কথাও অস্বীকার করছে।
১৬ এপ্রিল মেয়েটি যশোর কোতোয়ালি থানায় এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টির সুরাহা করতে যশোরে আরও অনেকের কাছেই গেছেন তিনি। কিন্তু কোন সমাধান পাননি। উল্টো মৃন্ময় তাকে নানারকম হুমকি দিতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জ ফিরে যান তিনি।
মেয়েটির দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, কাবিননামায় মৃন্ময় তার ঠিকানা হিসেবে যশোর শহরের ঘোপ এলাকার কথা উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া তার বাবার নামের বানানও ভুল লিখেছেন। যা থেকে বোঝা যায়, প্রেম, ধর্মান্তরিত হওয়া, বিয়ে করা সবই ছিল মৃন্ময়ের পরিকল্পিত প্রতারণা।
এদিকে মৃন্ময়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে দাবি করা হয়েছে যে, মেয়েটি যে কাবিননামা দেখাচ্ছে, সেটি ভুয়া। এ ব্যাপারে তারাও যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে মেয়েটি এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে জানায়,মৃন্ময় আমাকে নিয়ে যশোর, ঢাকা নারনগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে ভোগ করেছে দুই বছর ধরে।মৃন্ময় আমার স্বামী আমি আমার সংসার ফেরত চাই।
এ বিষয়ে জানতে মৃন্ময় কুন্ডু ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফারিয়ার সাথে আমার প্রেম ছিল বিয়ে করিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মৃন্ময় বলেন যা  যা হয়েছে দুই জনের সম্মতিতে হয়েছে জোর করে কিছু করা হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমিও আইনজিবী যা যা আইনগত ভাবে লড়ব।