অবশেষে নবজাতক পুষ্পকে তুলে দেওয়া হলো তার মা-বাবার কাছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেখে যাওয়া নবজাতক পুষ্পকে তার মা-বাবার কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্বামীর ওপর অভিমান করেই পুষ্পকে অন্যের কোলে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন পাপিয়া খাতুন।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুষ্পকে তার মা-বাবার কোলে তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন, সদর উপজেলাসহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, জেলা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার সানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মৌমিতা পারভীনসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর কন্যা সন্তানকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান পাপিয়া খাতুন, তার বাবা আলমডাঙ্গা উপজেলার ছোট পুটিমারি গ্রামের শুকুর আলী ও তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুনসহ পরিবারের সদস্য
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আলমডাঙ্গা উপজেলার ছোট পুটিমারি গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পাপিয়া খাতুনের। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে রয়েছে ৯ বছর বয়সী আলফি ও ৩ বছরের ফাতেমা খাতুন। আলফি ডিহি কেষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পাপিয়া খাতুন পুনরায় সন্তানসম্ভবা হলে গত ৯ মাস ধরে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পাপিয়া খাতুন তার বাবার বাড়িতে থাকলেও আলমগীর তার স্ত্রী সন্তানদের ঠিকমতো খোঁজ নিতেন না। গত ২০ দিন আগে মোবাইল ফোনে স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ নিলেও বৃহস্পতিবার পাপিয়া খাতুনের সন্তান হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।