পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবতে থাকে ফেরি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবতে থাকা ফেরি থেকে ভেসে আসছিলো ‘বাঁচাও বাঁচাও আহাজারি’। এমনটাই জানিয়েছেন পাড়ের বাসিন্দা ও ফেরি ডুবির খবর পেয়ে আসা স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করা ছিলো ফেরি রজনীগন্ধা। বুধবার সকালের দিকে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবতে থাকে ফেরিটি। এ সময় বাঁচার জন্য অনেক যাত্রীর চিৎকার ও আহাজারি শোনা যাচ্ছিল। এ সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিতে ছিলো ৯টি যানবাহন। এছাড়াও ছিলো শতাধিক যাত্রী। সর্বশেষ উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস এর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা আজ সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালিদ মাহমুদ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি ৯টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরিটিকে মাঝ নদীতে নোঙর করা হয়। সকালে ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এলে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।