বিশেষ প্রতিনিধি
এক সন্তানের জননী (১৯)কে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর সকালে মামলাটি করেন ধর্ষিতার শিকার সদর উপজেলার শেখহাটি বাবলাতলা ডিআইজি রোড এলাকার জনৈক বাড়ির ভাড়াটিয়া এক সন্তানের জননী।মামলায় আসামী করেন, যশোর শহরের ঘোপ জেলরোড বেলতলা বাউ বাজারস্থ জনৈক শাহিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া আহাদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান রকি।
এামলায় তিনি উল্লেখ করেন,যশোর নিউ মার্কেটের একটি দোকানে ব্যাগের কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাদির ১৮ মাসের একটি পুত্র সন্তান আছে। নবজাতক শিশু সন্তানকে নিয়ে উক্ত ঠিকানার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন। গত অনুমান ১ বছর পূর্বে যশোর শহরের দড়াটানা মাজারে মেহেদী হাসান রকির সাথে বাদির পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে রকি প্রায়ই সময় বাদিকে উত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বাদি রকির কথায় রাজী না হওয়ায় সে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ১০টার সময় রাতে খাওয়া দাওয়া শেখ করে বাদি তার শিশু সন্তানকে নিয়ে উক্ত ভাড়াটিয়া বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১ টার সময় ঘুুমিয়ে থাকা অবস্থায় আসামী দরজায় ধাক্কা-ধাক্কি করতে থাকলে হঠাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেই বাদিও ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাদি দরজা খোলার সাথে সাথে আসামী ঘরের মধ্যে ঢুকে বাদির মুখ চেপে ধরে এবং ঘরের মেঝেকে শোয়ায়ে বাদির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এক পর্যায় বাদির পরনের সেলোয়ার কামিজ খুলে বাদির বুকের উপর উঠে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাদিকে ধর্ষন করে। বাদি নিরুপায় হয়ে নিজেকে রক্ষার জন্য ডাক-চিৎকার দিলে আসামী বাদিকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়ে ঘর হতে বের হয়ে দ্রুত চলে যায়। সকাল বেলা বাদি ঘটনার ব্যাপারে অনেককে ও স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে থানায় এসে মামলা করেন। অপরদিকে, মামলার তদন্ত করতে যেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার দাস ধর্ষক মেহেদী হাসান রকিকে মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাড়া বাসা থেকে ৪৫পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বুধবার ২০ সেপ্টেম্বও বাদির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
