যশোরে বিএডিসির ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা তিনটি মামলা

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বিএডিসির সাবেক উপপরিচালক তপন কুমার সাহা ,মো. আমিন উল্যাহ ও ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন, মো. আক্তারুজ্জামান তালুকদার, সাবেক গুদামরক্ষক লিয়াকত আলী, রেজাউল কবির ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত গুদামরক্ষক কামরুল হাসান।
প্রথম মামলায় আসামি করা হয়েছে- ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, আমিন উল্যা, আলী হোসেন ও মো. রেজাউল কবিরকে। তাদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৪ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে।
প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ইন্দ্রজীত চন্দ্র শীল ঝিনাইদহে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বর্ষে উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি খামারে ৪০ হেক্টর (৯৮ দশমিক ৮ একর) জমিতে ৮০ টন এসএল এই-এইট জাতের হাইব্রিড ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। ওই বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক, জিএ-৩ চাষাবাদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট এক কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিরা যোগসাজশে ঝিনাইদহে উৎপাদিত ২২ দশমিক শূন্য ৩৫ টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান, ৯৩৬৮ কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ঝিনাইদহে উৎপাদিত ৭৫ দশমিক শূন্য ৭৫ টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান, ৪ দশমিক শূন্য ৬৯ টন , ব্রি ধান ২৮ জাতের ধানবীজ ও ২৬২৫ কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলায় এক কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪১ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর তৃতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত ৩২ দশমিক ১১০মেট্রিক টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান ৯ দশমিক ৮২৫ কেজি বারি ৩০ জাতের বীজ আত্মসাৎ করেছেন। তাদের ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।সর্বমোট ওই আসামিদের বিরুদ্ধে দুইকোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭শ’৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।#