যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় দুইজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড 

যশোর প্রতিনিধি 
সোনা চোরাচালানের মামলায় ২ চোরকারবারিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, গোপালগঞ্জের ঘোষের চর উত্তরপাড়ার জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মহসিন খান ও শরিয়তপুরের জাজিরার হাজী ছবদের মাদবর কান্দি এলাকার ইব্রাহিম মাদবরের ছেলে ইলিয়াছ আহমেদ।
গতকাল রোববার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের এপিপি কালিদাস মন্ডল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু মোর্ত্তজা ছোট জানিয়েছেন, আসামিরা ন্যায় বিচারক থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে আসামিরা খালাস পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই দুইজন পাসপোর্টের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করেন বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তারা। আটক দুইজনের স্বীকারোক্তিতে দেহ তল্লাশি করে মহসিন খানের কাছ থেকে ৫পিস ও ইলিয়াছ আহমেদের কাছ থেকে আরও ৫পিস সোনর বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১ কেজি। এ ঘটনায় বেনাপোল কাস্টামসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে আটক দুই জনের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকতা এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান। স্বাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় সোনা রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত দুইজন কারাগারে আটক আছে।