নারায়ণগঞ্জ চোরচক্রের ৮ সদস্যকে আটক যশোরে বিমান বাহিনীর সদস্যর বাড়িতে চুরির ঘটনায়

যশোর প্রতিনিধি 
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিনের বেলায় যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসারের বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে চুরির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ চোরচক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চুরির সাথে সম্পৃক্তার তথ্য পাওয়া যায়। একই সাথে চুরি কাছে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং চুরি করা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিজমিজি মৌচাক রোডের ডি ব্লক ২১৬ নম্বর বাড়ির সামছুল হক ওরফে শুকুর আলীর পাঁচ ছেলে নয়ন ওরফে আকাশ ওরফে আল-আমিন (২৮), আল-আমিনের ভাই রিয়াদুল শেখ রিয়াদ (২১), জাহিদ (২৪), সাকিব ইসলাম (২০) এবং শ্রাবণ ওরফে সাগর (১৬), নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ধামগড় মনার বাড়ি এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (৩৫), সোনারগাও থানার ললাটি কাঁচপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং যশোর শহরের চাঁচড়া মেডিকেল কলেজের পাশের ফারুকের ছেলে রিয়াজ (২৩)। আটককৃতদের মধ্যে আল-আমিন, সাইফুল ইসলাম এবং রিয়াজ শুক্রবার যশোরের আদালতে চুরির ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল ওই জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল জানিয়েছেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় বসবাসকারী বিমান বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসাদ্জুামানের ছয়তলা ভবনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ছয়তলা ভবনের পঞ্চমতলায় তিনি বসবাস করেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে দরজার হ্যাজবোল্ট ভেঙ্গে অজ্ঞাত চোর বা চোরচক্র ঘরের মধ্যে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ৭ লাখ টাকা মূল্যের ৭ ভরি সোনার আলংকার চুরি করে নিয়ে যায়। বাড়িতে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিনি বুঝতে পারেন ৭ সেপ্টম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই চুরি হয়।
তিনি আরো জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরায় ধারনা করা ফুটেজ দেখে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরচক্রের সন্ধান পান নারায়ণগঞ্জে। সেখানে অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানার পাড় গ্রামের ঢাকা-চট্ট্রগ্রাম সড়কের পাশের একটি মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে থানা বাস থেকে আল-আমিন ও রিয়াজকে আটক করা হয়। পরে ওই বাস তল্লাশি করে চুরি কাছে ব্যবহৃত একটি সেলাইরেঞ্জ ও একটি প্লাস উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে মিজমিজি রোড থেকে রিয়াদ, জাহিদ, সাকিব, ইয়াসিন ও শ্রাবনকে আটক করা হয়। তারা আসামিরা সাইফুলের কাছে চোরাইকৃত সোনার গহনা বিক্রি করে। পরে সাইফুলকে আটক করে তার কাছ থেকে ৬ ভরি ১৪ আনার গহনা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা চুরির ঘটনা স্বীকার করে।