সুলতানপুরে নকল কারখানা  তৈরী করছে শিশুদের বাহারী লোভনীয় পণ্য!

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ‘টেষ্টমি ফুড প্রোডাক্টস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়মরীতির কোনো তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে তৈরী করছে শিশুদের বাহারী লোভনীয় পণ্য। সদর উপজেলার সুলতানপুর  গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় এ কারখানায় তৈরী হচ্ছে নিমকি, চিড়া ভাজা, ডাল ভাজা, কামরাঙ্গা, চানাচুরসহ বিভিন্ন পণ্য। যেখানে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সবাই শিশু- নারী শ্রমিক।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, লাইসেন্স বিহীন কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে আটা, ময়দা, রং এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরী করছেন নকল চিপসসহ বিভিন্ন পণ্য। কারখানার ভেতরে শিশু ও নারী শ্রমিকরা অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে প্যাকিংয়ের কাজ করছেন। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালারের রং এর পাত্র, সোডা, ক্ষতিকার কেমিক্যাল ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এ্যামুনিয়া জাতীয় পদার্থ। শ্রমিকরা খালি গায়ে ঘাম ঝড়ানো শরীরে কাজ করছেন। এখানে বাহারী রকমের নামীদামী কোম্পানীর মোড়কের নাম ব্যবহার করে শিশু ও নারীদের দিয়ে তৈরী হচ্ছে খাবার পণ্য। আর এসব পণ্য গুলো রাতের আঁধারে বা দিন দুপুরে ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। পণ্যর মোড়কে ব্যবহার করছেন ঢাকার ঠিকানা।
স্থানীয়রা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব পণ্য খেলে শিশুদের নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে টিনসিটের একটি ঘরে গড়ে তৈরি করেছে কারখানা। অবৈধ এ সব পণ্য তৈরির কারখানা প্রশাসন দেখেও যেন কিছু দেখছে না। এ পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থাও নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে টেষ্টমি ফুড প্রোডাক্টসের প্রোপ্রাইটর আহসান হাবিব রনি জানান, তার কোনো কাগজ পত্র নেই। তিনি কাগজ পত্র করারা চেষ্টা করছেন। অতি দ্রুত কাগজ পত্র করবেন।
যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদ জানান, নকল এ সব পণ্য খেলে শিশুদের লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।