ঢাকা অফিস: ফাইল ছবি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর পর এ আদেশ দেন আদালত। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
এরআগে বেলা পৌণে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় গণহত্যার বিচারিক প্রক্রিয়া। এজলাসে বসেছেন চেয়ারম্যানসহ ৩ বিচারক। প্রথম কর্মদিবসে কার্যতালিকায় রয়েছে ৩টি অভিযোগ। ট্রাইব্যনালের সুচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাইগণ হত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনা তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে ৬০টির মতো অভিযোগ। এসবের ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
এর আগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।