ঢাকা অফিস: আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিএমএম আদালতের সামনে, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এক আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগের তীর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দিকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী এ জেড এম ফরিদুজ্জামান স্লোগান শুরু করলে বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী তাকে মারধর করেন। এসময় তাকে কিল-ঘুষি লাথি মারেন ক্ষিপ্ত আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আইনজীবী কোন বক্তব্য দিতে চাননি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানকে রিমান্ড শেষে আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার সময় ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে জয় বাংলা ও জংয় বঙ্গবন্ধু বলে স্লোগান দিয়েছেন কিছু সংখ্যাক আইনজীবী।
এদিকে গতকাল বুধবার সকালে ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণ ও আদালত প্রাঙ্গণে গণহত্যাকারীদের পক্ষে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক কমিটি’র লিগ্যাল উইং।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সকল ব্যক্তিরই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার আছে। কিন্তু গণহত্যার সাথে জড়িত কোনো খুনি এবং তার দলের পক্ষে স্লোগান দেওয়া কিংবা পুনর্বাসনের চেষ্টার অধিকার কারো নেই। আমরা মনে করি, আদালত প্রাঙ্গণে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দেওয়া শহীদ ও আহতদের রক্তের সাথে উপহাসের শামিল। যে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যাকারী হাসিনার গুম-খুন-দুর্নীতি-নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে এবং আমাদের ভাই-বোনদের শহীদ করা হয়েছে, আইনজীবী পেশাকে ঢাল বানিয়ে সে একই স্লোগান তুলেছে পরাজিত মুজিববাদী ফ্যাসিবাদীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি’র সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নুর, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা প্রমুখ। এতে সংহতি বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।