যশোরে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে থানায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংয়ের হাতে এক পরিবারের পিতা পূত্রে আক্রমের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সন্ত্রাসীর
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন,যশোর সদর উপজেলার কচুয়া স্কুলপাড়ার গোলাম কাদের পাড়ের ছেলে মামুন পাড়। আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার কচুয়া নতুন বাজার এলাকার মেহের আলীর ছেলে বুকারী,আব্দুল হাইয়ের ছেলে ইব্রাহিম, আব্দুল হকের ছেলে তুফান,জাফরের ছেলে ইসমাইল হোসেন, আনছার আলীর ছেলে ইকরামুল, গহরের ছেলে হেলাল,গণি মোল্লার ছেলে খালিদ ও হাসিবসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের সদস্য। তারা উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং। তারা এলাকায় চাঁদাবাজী,ছিনতাই,মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আসামীদের সাথে এলাকার সামাজিক অবস্থান নিয়ে পূর্ব হতে শত্রুতা ও দ্বন্দ চলে আসছে। সেই কারনে আসামীরা বাদি ও তার ছেলে হৃদয় (১৭)কে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১০ টায় বাদির ছেলে কচুয়া নুতন বাজারে ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে ওয়াজ শোনার সময় আসামীরা পূর্ব শত্রুতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুকারীর নেতৃত্বে হৃদয়কে খুন করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে বুকারীর হুকুমে সকাল আসামী তাদের হাতে থাকা ধারালো দা,পাইপ,লাঠিসহ বাদির ছেলেকে ধরে পাশে নিয়ে অবৈধভাবে আটক করে রাখে  লোকমুখে সংবাদ শুনে বাদি ও তার ভাই আলমগীর হোসেন রাত সাড়ে ১০ টায়  কচুয়া বাজারে মিন্টুর দোকানের সামনে যেয়ে স্কুল পড়–য়া ছেলেকে আহত অবস্থান দেখে তাকে ছেড়ে দিতে বলার সাথে সাথে আসামীরা খুন করার উদ্দেশ্যে জিআই পাইপ দ্বারা বাদির মুখে স্বজোরে আঘাত করে বাদির মুখের নীচের পার্টির তিনটি দাঁত নড়াইয়ে গুরুতর জখম করে।  বাদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দাঁত তুলে ফেলার পরামর্শ দেয়। ১৮ ফেব্রুয়ারী বাইরে এক চিকিৎসকের মাধ্যমে তিনটি দাঁদ তুলে ফেলে। ঘটনার সময় তুফানসহ অন্যান্য আসামীরা বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা লাঠি ও পাইপ দিয়ে বাদির ঘাড়ে,মুখে,বুকে,পিঠে, ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম করে। তখন বাদির ভাই আলমগীর হোসেন ঠেকাতে এলে তুফান, ইসমাইল হোসেন, ইকরামুল, হেলাল,খালিদ ও হাসিবসহ সকল আসামীরা বাদি ও তার ছেলে হৃদয়  ( ১৭)কে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে নগদ ১৫শ’ টাকা কেড়ে নেয়। এসময় বাদিকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করার সময় বাদির ডাক চিৎকারে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়।