যশোর প্রতিনিধি
শুক্রবার ১১ অক্টোবর দুপুরে যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের গোয়ালদাহ গ্রামের জনৈক কামরুজ্জামানের মিকুল ব্রিকস এর চিমনির উত্তর পাশে পরিত্যক্ত জমিতে তিন সন্তানের জননী নাজমা খাতুন (৩৫) কে গলা কেটে হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।নিহত নারীর পিতা ওই গ্রামের মৃত আমির উল্লাহর ছেলে মশিউর রহমান বাদি হয়ে সন্ত্রাসী ও নির্যাতন কারী জামাতা গোয়ালদহ (মিয়াপাড়া) গ্রামের আলাউদ্দীন গাজীর ছেলে সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে শুক্রবার ১১ অক্টোবর রাতে মামলা দিয়েছে। সালাউদ্দীনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলায় নিহত নারীর পিতা উল্লেখ করেন, প্রায় ১৯ বছর পূর্বে সালাউদ্দীনের সাথে বাদি তান মেয়ে নাজমা খাতুনকে বিয়ে দেয়। তাদের বৈবাহিত জীবনে ৩টি সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। নাজমা খাতুনের সাথে বিয়ের পর থেকে সালাউদ্দীন বাদির মেয়ে নাজমা খাতুনকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতো। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাজমা খাতুন প্রায় ৩ মাস পূর্বে জামাতকে তালাক দিয়ে বাদির বাড়িতে চলে আসে।তার পর থেকে সালাউদ্দিন বাদির মেয়েকে খুন জখমসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছে। বাদির মেয়েসহ তার তিন ছেলে মেয়ে বাদির বাড়িতে বসবাস করতো। বাপের বাড়িতে বসবাস করার সময় নাজমা একটি গাভী ও বাছুর লালন পালন করে। গত ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টায় উক্ত ব্রিকস এর উত্তর পাশে পরিত্যক্ত জমিতে গরু দু’টি ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে বাদির মেয়ে নাজমা বাড়িতে চলে আসে। দুপুর আড়াইটার সময় গরু আনতে বাড়ি হতে বের হয়। তার পর বাদির মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় বেলা ৩ টার সময় প্রতিবেশী বোন শিলা বাদির বাড়িতে এসে জানান, যে নাজমা গরুর পাশে একজন গলা কাটা মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে বাদিসহ তার নাতী উক্তস্থানে এসে দেখেন বাদির মেয়ে নাজমা খাতুনের লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। নাজমা খাতুনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটা হয়েছে।