জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।
ঢাকার একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি, তবে ভ্রাতৃত্ব থাকা দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাকে গর্বিত বা খুশি করে না।
২০২৬ সালের জুন মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস এক বার্তায় উল্লেখ করেছে, ২০২৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪২টি রাষ্ট্র নিউইয়র্ক ঘোষণার পক্ষে ভোট দেয়, যা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন জানায়।
এতে বলা হয়, যদিও আমরা অসংখ্য জীবন হারিয়েছি, আর আমাদের জনগণের রক্ত দিয়ে চূড়ান্ত মূল্য দিতে হয়েছে, তবুও এটি ছিল আত্মচিন্তা, আশা এবং মর্যাদার এক মুহূর্ত। এটি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ, যেখানে অবশেষে বিশ্ব আমাদের সংগ্রাম, স্থিতিস্থাপকতা ও সাহসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপ যেন আমাদের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও স্থায়ী শান্তির আরও নিকটে নিয়ে আসে