ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪ জন, এতে আহত হয়েছে ১৩ জন।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যাত্রিবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দুইজন যাত্রি নিহত এবং কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ- উত্তরবঙ্গ সড়কের সত্রাশিয়ার কানাইবটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেকের পুত্র আমিনুল ইসলাম (৩২) ও ইদ্রিস আলীর মেয়ে রীতা আক্তার (২১) ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী অপরুপা নামের একটি যাত্রিবাহী বাস সামনে থাকা ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাকে এবং গরু বোঝাই নছিমনও ঐব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা ও নছিমনের কমপক্ষে ১০ জন যাত্রি এবং আরোহী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে, কর্মরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. দুলাল আকন্দ জানান, বাস আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে ।
এদিকে ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের রশিদপুর নামক স্থানে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহতরা হলেন-সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে বাবলু মিয়া (৪২) ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার করিম মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০)।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান,শ্যামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি সিএনজি শম্ভুগঞ্জ এলাকার রশিদপুর নামক স্থানে আসতেই নেত্রকোনাগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এ দুইজনের মৃত্যু হয়। এসময় নারী ও শিশুসহ তিনজন আহত হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাস জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে।