- মাধঘোপা নিউজ ডেক্স: গরুর মাংস এবং ত্রাণ বিতরণের কথা বলে ডেকে আনা হয়েছিল স্বল্প আয়ের মানুষদের। যাদের বেশির ভাগই ছিলেন রিকশাচালক। প্রেসক্লাবের সামনে তাদের ত্রাণের কথা বলে ডাকা হলেও দাঁড় করানো হয় মানববন্ধনে। কিন্তু কীসের মানববন্ধন বা কেন মানববন্ধন তার কিছুই জানানো হয়নি তাদের। তাই কর্মসূচির মধ্যেই ত্রাণ ও টাকা চাওয়া নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। পরে পণ্ড হয়ে যায় মানববন্ধন।
শুক্রবার ভাসানী অনুসারী পরিষদের নামে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল শনিবার ৫ জুন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেই মানববন্ধনে যারা উপস্থিত থাকবেন বলে বলা হয়েছিল ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, তারা কেউই উপস্থিত হননি।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনিয়া হত্যার বিচার চাই শিরোনামে এই নাগরিক সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়েছিল। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু নিজেকে সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি ভাসানী অনুসারী পরিষদ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছিলেন।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। উপস্থিত থাকবেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ লতিফুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা নাইম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু আজকের এই অনুষ্ঠানে দেখা যায় এদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বরং কিছু সংখ্যক ভাড়াটে লোক দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রেসক্লাবের সামনে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাসানী অনুসারী পরিষদের পক্ষ থেকে করোনাকালীন ত্রাণ, নগদ অর্থ ও গরুর মাংস দেয়ার কথা বলে তাদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আনা হয় রাজধানীর মিরহাজীরবাগ এলাকার শতাধিক রিকশাচালককে। পরে তাদের ত্রাণ না দিয়ে মানববন্ধনে দাঁড় করানো হয় বলে জানিয়েছেন রিকশাচালকরা। তারা প্রতিশ্রুতির টাকা ও ত্রাণ চাইতে গেলে নিজেদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। তুমুল হট্টগোলের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংগঠনের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু রিকশা চালকদের পল্টন মোড়ে অর্থ দেয়ার কথা বলেন দ্রুত প্রেসক্লাব এলাকা ত্যাগ করেন। এর আগে রফিকুল ইসলাম সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বাজেট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেন।