যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ওরফে সোনা খেকো জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে ৩৬ গাড়ি সোনালুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ বিজিবি ্যাব পরিচয় দিয়ে সোনা লুটের কথা শোনা যায়। অবশেষে এই চক্রের সন্ধান মিলেছে, সোনা লুটেরাদের সুর এবার বেসুরে বাঁচতে শুরু করেছে। সোনা লুটেরাদের মূল হোতা কুখ্যাত তোরা কারবারি বাগাআচড়া এলাকার জাহাঙ্গীরের থলের বিড়াল এবার বেরিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক সোনা চোরা চালানির বস গৌতম আওলাদ এবং নাসির জসিম সিন্ডিকেটের উল্লেখিত সোনালু ট করেছে এই চক্র। যার সিন্ডিকেটের মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জসিম সিন্ডিকেটের আট গাড়ি সোনা লুট করার পর উন্মোচিত হয়েছে কালা জাহাঙ্গীরের মুখোশের। যা থেকে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির ও বিএনপি সিএসকে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কিনেও শেষ রক্ষা হয়নি। একে একে জাহাঙ্গীর স্বিকার করেছে তার এসব কর্মকাণ্ড। অবশেষে তার এসব কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করে পাঁচ কোটি টাকা দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে জাহাঙ্গীর। সাবেক এক চেয়ারম্যানের বাসায় শালিশের মাধ্যমে কোটি টাকা পরিষদের সময় নির্ধারণ করা হয়। বিএনপি নেতার ভাই বাবু ওই টাকা আর জিম্মাদার হয়েছে বলে জানা গেছে।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগাআচড়ার কুখ্যাত চোরাকারবারি জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর বর্তমান এলাকার সকল লোকজন তাকে সোনা খেকো জাহাঙ্গীর নামে চেন। চোরাকারবারের সাথে থেকে বিশেষ পেশাই বিপথগামী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন দুর্বৃত্তদের সাথে হাত মিলিয়ে জাহাঙ্গীর নেমে পড়ে বিনা পুঁজির ব্যবসায়ী হয়ে যায় কোটিপতি। বিভিন্ন পার্টির সোনা লুট করে বনে যাই অগাধ সম্পদের মালিক জাহাঙ্গীর তার ড্রাইভার আর এক জাহাঙ্গীর এবং জুলফিকার আলী জুলুকে পাঠায় ঢাকা থেকে আওলাদ আরিফ ও ইমরানের দোকান থেকে পুটখালী সিন্ডিকেটের সোনা ক্যানিং এর দায়িত্ব। এরা নাসির রমজান ওলিয়ার আলমগীর জিয়া সহ অনেকের সোনাবহন করে। আর এতেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় জাহাঙ্গীর গংয়ের।
বিশেষ পেশায় বিপথগামী কিছু দুর্বৃত্ত নিয়ে টিম গড়ে মাঠে নেমে পড়ে। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে সাজানো নাটকের মাধ্যমে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে সোনা বহনকারীদের ফেলে রেখে সোজা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের সর্বশেষ অভিযান চলে পুটখালী নাসীদের সৎ ভাই জসিম এবং অলিয়ার সোনার চালান লুটের মাধ্যমে 18 সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা থেকে খবর রডে ভারতের বস গৌতমের মাধ্যমে অপু সাহার কাছে ঢাকার আওলাদের দোকান থেকে জসিম অলিয়ারের সিন্ডিকেট পাঠানো সোনার বার ও গাড়ীসহ জুলফিকার আলী জুলু ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ১৮ মাইল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে ওই দিন গভীর রাতে জুলফিকার আলী জুলু এবং জাহাঙ্গীরকে যশোর শহরতলীর হাসিমপুর থেকে ফুলবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করে। পরে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জুলফিকার আলী জুলু ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের বাড়ির লোকজন যে কোতোয়ালি থানা থেকে তাদেরকে ছাড়িয়া আনে। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় ভারত বাংলাদেশের সোনা পাচারের সাথে জড়িত এমন কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না যে কারণে জুলফিকার আলী জুলু ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীরকে ওই রাতেই তুলে নিয়ে যা হয় নাসিরের আস্তা নাই। তাদেরকে কয়েকদিন আটকে রেখে মারপিট দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে। তারাই স্বীকার করে এই চক্রের মূল হোতা বাগাআচড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর। তারা আরো স্বীকার করে সোনারবার গুলো কালা জাহাঙ্গীরের হেফাজতে আছে। বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর নাসির জসিম রমজান সিন্ডিকেটের লোকজন চলা হয় জাহাঙ্গীরের বাড়িতে। জাহাঙ্গীরের বাড়িতে সোনা পাওয়া না গেলে ঘটনা নিয়ে দেন দরবার শুরু হয়। সোনা খেকো জাহাঙ্গীর নিজেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও বিএনপির পি এস এর শরণাপন্ন হয়। এবং বিপুল পরিমাণ টাকা দেবার অঙ্গীকার করে।