আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় শহর ভ্লাদিভোস্টকের একটি অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তৃতাকালে বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ব্যর্থ, বিশ্বের ভবিষ্যৎ এশিয়ায়।
পুতিন মূলত এশিয়ার দিকে রাশিয়ার ঝোঁককে আন্ডারস্কোর করার প্রয়াসে এই কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
ফোরামে বক্তৃতাকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে তিনি বলেন, রাশিয়ার সমস্ত পদক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এর লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে সাহায্য করা। ইউক্রেনের সংঘাত থেকে রাশিয়া লাভ করেছে, হারিয়ে যায়নি। কারণ রাশিয়া একটি নতুন সার্বভৌম পথে যাত্রা করছে যা তার বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফিরিয়ে আনবে।
পুতিন ইউক্রেনের সংঘাতকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেন।
মূল বক্তৃতায় পুতিন শস্য রপ্তানির রেফারেন্সের বাইরে ইউক্রেনকে খুব কমই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু যখন একজন মডারেটর জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সংঘাত থেকে কিছু হারিয়েছে কিনা। পুতিন জবাবে বলেছিলেন, রাশিয়া কিছুই হারায়নি বরং লাভ করেছে এবং নতুন করে আবার আবির্ভূত হবে।
১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নেতা পুতিন বলে আসছেন, ‘আমরা কিছু হারাইনি এবং কিছু হারাবোও না। অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকারক এবং যা কিছু আমাদের এগিয়ে যেতে বাধা দেয় তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। আমরা যা অর্জন করেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে, আমি বলতে পারি যে আমাদের সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করাই মূল লাভ। এখন যা ঘটছে এসবই তার অনিবার্য ফলাফল। এটি শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করবে।’
যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, এই সংঘাত বিশ্ব এবং রাশিয়া উভয় ক্ষেত্রেই ‘একটি নির্দিষ্ট মেরুকরণ’ শুরু করেছে।
পুতিন জুলাই মাসে পশ্চিমাদের বলেছিলেন, তিনি সবেমাত্র ইউক্রেনে শুরু করছেন এবং মস্কোকে হরানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহস দিয়েছেন। কেননা রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক এবং প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্বকে যুক্তরাষ্ট্র উপভোগ করে। কিন্তু পশ্চিমাদের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হবে।