যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে বালিতে পুঁতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যবসায়ীর নিকট হতে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদি হয়ে ৬ জনের নামে অভয়নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কনা ইকো পার্কের মালিক কামরুজ্জামান ও তার বড় ছেলে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) আসাদুজ্জামান জনি,নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরী, পৌর বিএনপির ৬নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাট হোসেন,যুব নেতা সৈকত হোসেন হিরা ও মিঠু (ডিস ব্যবসায়ী)। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মিঠুকে (ডিস ব্যবসায়ী) আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে রোববার বিকেলে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত মফিজুর রহমান দপ্তরীকে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে তার সদস্য পদ কেনো থাকবে না সেই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মুজিবর রহমান।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে ১০ টায় জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে সুকৌশলে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির পদ স্থগিত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির অফিসে ডেকে নিয়ে যায় সৈকত হোসেন হিরা। এসময় আসাদুজ্জামান জনি টিপুকে মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ব্যবসায়ী টিপুকে চলিশিয়া গ্রাম থেকে থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাজারে যাচ্ছিলেন?। পথিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট পার হলে সৈকত হোসেন হিরা তার গতিরোধ করে একতারপুর গ্রামে কনা ইকো পার্কে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে টিপুর স্ত্রী মামলার বাদি আসমা খাতুন সেখানে পৌঁছালে আসাদুজ্জামান জনি, সম্রাট হোসেন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের পদ হারানো সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরীসহ অন্যান্যেরা পিস্তল ঠেকিয়ে টিপুকে মারধর করতে থাকেন। পরে বালুর গর্ত আটকে রেখে আরো দুই কোটি টাকা আদায় করেন।