যশোর প্রতিনিধি
যশোরে এক আদালতে একইদিনে ১৪ টি মামলার রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রোববার যুগ্ম জেলা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষনা করেন। ১৪টি মামলার মধ্যে আটটি মামলায় নয়জনকে সাজা ও অপর ৬ টি মামলায় ছয়জনকে খালাশ প্রদান করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি ভীম সেন দাশ ও লতিফা ইয়াসমিন।
আদালত সূত্র জানায়, সাজা প্রদান করা আটটি মামলার মাধ্যে রয়েছে তিনটি এনআই এক্টের ও বাকি পাঁচটি মামলা মাদক ও চোরাচালান আইনের।
২০১২ সালের ৭ মার্চ শার্শা বাজারের যাত্রী ছাউনি থেকে যশোর শহরের শংকরপুর এলালার শামসুর রহমানের ছেলে আব্দুর রব ও রায়পাড়ার মোস্তফার ছেলে বশির ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ মামলায় আদালতে প্রত্যেকের চারবছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি চাঁচড়া চেকপোষ্ট এলাকা থেকে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ পিরোজপুর জেলার কালিরঘাট গ্রামের সলেমান ফকিরের ছেলে দুলাল ফকির আটক হয়। এ মামলায় দুলালের তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।
২০১৩ সালের পহেলা মে যশোর ধর্মতলা এলাকা থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর হঠাৎপাড়ার খালেকের ছেলে মান্নান আটক হয়। এ মামলায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া চোরাচালান মামলায় মণিরামপুর উপজেলার কামলাপুর গ্রামের সুলতান গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। উপলে উল্লেখিত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া মাদক মামলায় নতুন উপশহর এলাকার মতলেব বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলামকে এক বছরের সাজা প্রদান করে আট শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এরবাইরে অন্য মামলাগুলোর আসামিদের পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
এছাড়া ছয়টি এনআই এক্টের মামলায় ছয় আসামির খালাস প্রদান করেছে আদালত।