যশোর প্রতিনিধি যশোরে হত্যাকাণ্ডের শিকার বরিশালের ট্রাক মালিক রেজাউল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ট্রাক চালক হৃদয়কে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আটক হৃদয় মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম নথুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। এসময় রেজাউলের ট্রাকটি ও ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুলে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক হৃদয়কে আটক করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার । তিনি জানিয়েছেন, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় স্বীকার করেছে রেজাউলের নিকট হৃদয় টাকা পেতেন। কিন্তু সে টাকা না দেওয়ায় ক্ষোভে রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সাতক্ষীরা ভোমরা থেকে বসুন্দিয়া আসার পথে গত ২১ জুন রাত ২ টার দিকে যশোর থুলনা রোডের মুড়লী রেল ক্রসিং পার হওয়ার পর রেজাউল বিশ্রাম নেন। এক পর্যায় সে ট্রাকের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে হৃদয় ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে হত্যা করে রেজাউলকে। পরে লাশ ওই পুকুরে ফেলে দিয়ে ট্রাক ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে চম্পট দেয় হৃদয়। এরপর চুরি করা ট্রাক নিয়ে কুষ্টিয়া খোকসায় যায়। সেখান থেকে পেঁয়াজ নিয়ে কুমিল্লার চান্দিনা কাঠেরপুল পেয়াজের আড়তে নিয়ে যায়। পরে সে ট্রাকের নাম্বার প্লেটটি পরিবর্তন করে ফেলে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আটক করে। নিহত রেজাউল বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর গ্রামের ইউনুস বয়াতী ও মমতাজের ছেলে। তিনি নিজের ট্রাক নিজেই চালাতেন।
গত ২১শে জুন যশোর জেলার সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের পদ্মবিলার ঘুনি নাথপাড়া একটি পুকুর থেকে ট্রাক চালক রেজাউলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার পরিচয় সনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। রেজাউলের স্ত্রী হাসিনা বেগম যশোরে এসে এ ঘটনায় হেলপার হৃদয়কে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। ঘটনার তিনদিনের মাথায় যশোরের ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম, এসআই জাকির হোসেন, এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুনের সম্বন্বয়ে একটি টিম কুমিল্লা জেলা থেকে হৃদয়কে আটক করে।আজ শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।