চট্রগ্রামের দুই সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যশোরে মামলা 

যশোর প্রতিনিধি চট্টগ্রামের উত্তরপ পতেঙ্গার টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে সার উঠিয়ে যশোরের বাফার গোডাউনে জমা দেয়ার সময় ১৪৩ মেট্রিক টন টিএসপি ভেজাল পাওয়ায় চট্টগ্রামের দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সার আত্মসাৎ ও ভেজাল দেয়ার অভিযোগে টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সোলায়মান গত রোববার রাতে মামলাটি করেন।

আসামিরা হলো, চট্টগ্রামের ২৮/৮ স্ট্যান্ড রোড মাঝিরঘাট এলাকার মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে আহসান হাবিব (৪০) এবং সন্দিপ উপজেলার নাজিরহাট বাউরিয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে ইব্রাহিম হয়দার (৩৮)।
এজাহারে মোহাম্মদ সোলায়মান উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধিন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রনে টিএসপি সার উৎপাদিত হয়। এবং তার ঠিকাদারের মাধ্যমে সারা দেশে পাঠানো হয়ে থাকে। আসামিদ্বয় গত ১৫ মার্চ বিসিআইসি থেকে ২৪১ মেট্রিকটন টিএসপি উত্তোলন করে এবং তা ১৭টি ট্রাকের মাধ্যমে দুইদিন যশোরে নিয়ে আসেন। যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পাঁচবাড়িয়ায় বাফার গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫টি ট্রাকে ১৪৩ মেট্রিক টন টিএসপি থাকার কথা। বাফার গোডাউনের ইনচার্জ আক্তারুজ্জামান সার ট্রাক থেকে আনলোড করার সময় দেখতে পান প্রায় প্রত্যেক বস্তার মুখ দ্বিতীয়বার সেলাই করা। তার সন্দেহ হলে ট্রাক থেকে সার আনলোড বন্ধ করে দিয়ে তার ৬টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য ঢাকার রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে দেখা যায় ৬টি নমুনাতে ভুয়া সার। আসামিদ্বয় ৯২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৪৩ মেট্রিক টন আসল সার বদল করে নকল সার বস্তায় ঢুকিয়ে তা যশোরের গুদামে নিয়ে আসে। ফলে কর্তৃপক্ষ দুই ঠিকাদরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। #