যশোরে নাশকতা মামলায় আওয়ামী ঘরামীর আরো একজন গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী আবু তাহের ছনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ১২ টার সময় সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর স্কুল মোড় এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানার এসআই বায়েজীদ মোল্লা জানান, ছনু আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা ঐক্য জোট ভঅবে একই উদ্দেশ্য সাধন কল্পে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন অর্থাৎ গত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার সময় সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে উক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০/৩০০ দজন সন্ত্রাসী জোর পুর্বক দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র,বোমা,লাঠি সোটা, জিআই পাইপসহ অনধিকার প্রবেশ করে ডেঞ্জার দিপু মোট ৯৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা উল্লেখিত পরিমানের আসামীরা হামলা চালিয়ে মারপিটসহ বোমা বাজি চালিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ওই সময় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। উক্ত মামলায় ছনু দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিল।#

কথিত দালাল এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর ভূমিকায় সরকারী হাসপাতালে অবস্থান নেয়
যশোরে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় গোজে উঠছে
হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে
যশোরে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার গোজে উঠলেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোন তদারকি নেই। যার ফলে এই পেশার প্রতি বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে ঘৃনা ও অসন্তোষ শুরু হয়েছে। তবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রীক চারিপাশে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহ। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে এ সব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ গুলোতে নেই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যে যার মতো ইচ্ছা মাফিক রাতের আধারে গড়ে তুলছে স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। মানহীন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে মানব সেবা নয়। উল্টো মানবকে জিম্মি করে তাদেরকে পথে বসানো। যার কারনে এ সব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ে রাখা হয় দালাল নামে কথিত কর্মচারী। তাদের কাজ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন কৌশলে তাদের চুক্তিবদ্ধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তোলা। রোগীকে তদের চুক্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে তুলতে পারলে ওই রোগীর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠান যা আয় করবেন তার ৫০% পেয়ে যান কথিত ওই কর্মচারী নামধারী দালাল। যার কারনে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে ও আশপাশে ছুটির দিন ব্যতীত ১৯ থেকে ৪৮ বছরের পুরুষ অবস্থান নিয়েছেন। অথচ এদেরকে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকাংশরা চেনেন। এরা হাসপাতালের বর্হিবিভাগে টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা নারী পুরুষদের সাহায্যর কৌশল নিয়ে তার কাছে হাজির হয়ে তার কারিশমা শুরু করেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে মন্তর পড়ানোর ন্যায় বুঝাতে থাকেন কিভাবে তাকে ভাগিয়ে বাইরে চুক্তিবন্ধ ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিদিন বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক দালালের মাধ্যমে পাওয়া রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা,নিরীক্ষা, এক্স-রে করা ও চিকিৎসক দেখানোসহ কমপক্ষে ১লাখের অধিক উপার্জন করে। শীতের সময় সাধারণ রোগীদের চাপ কম থাকায় মাত্র দুই মাস এই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ব্যাহত হয়। বাকী ৮ মাস লাখ লাখ টাকা চিকিৎসার নামে অপ চিকিৎসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয় নানান অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা সস্পর্কে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান তৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় করেন। কিছুদিন অভিযান চললেও তা কিছুদিনের মধ্যে আবার পুনরায় আগের স্থানে চলে যান। সূত্রগুলো আরো বলেছেন, রাতারাতি গোজে উঠা প্রতিষ্ঠানের মালিক আবেদন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে দালাল প্রত্যাহারসহ যে সব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন যশোরের বিভিন্ন পেশার মানুষ।