যশোরের সেই মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা পুনেকের সহযোগিতায় পেলো চাকরি

যশোর প্রতিনিধি
যশোরের সেই মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা পুনেকের সহযোগিতায় চাকরি পেলেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ( ২৩ই ৩মার্চ ২০২২খ্রিঃ) বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির(পুনাক) সম্মানিত সভানেত্রী জীশান মীর্জা অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ঝিকরগাছার শিমুলিয়া গ্রামের দু-পা ও এক হাত বিহীন মাস্টার্স শেষ করা জীবন যুদ্ধে অদম্য সাহসী শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদার স্কুলে হাজির হন। তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যান শাহিদার জন্য চাকরির নিয়োগ পত্র। তার প্রতিবন্ধী স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার সরুপ নতুন পোষাকও বিভিন্ন ধরনের খাবার সামগ্রীও নিয়ে যান।
চাকরির নিয়োগপত্র শাহিদার হাতে তুলে দেয়ার সময়ে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই চলছি। বিশেষ করে আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই চেষ্টা করে চলেছি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তারই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরের শেষ দিকে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি হাত-পা বিহীন শাহিদার জীবন সংগ্রামের বিষয়ে। তারপর থেকেই খুঁজতে থাকি শাহিদাকে এবং অবশেষে তার সন্ধান পেয়ে যায়। আমি জানুয়ারি মাসে প্রথমে শাহিদার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করি এবং তার ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে পারি।
আমি তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শাহিদা হলো সেই অদম্য সাহসী মানুষ যে কিনা সকল প্রতিবন্ধকতাকে পিছে ঠেলে প্রতিনিয়ত সমাজে আলো ছড়াচ্ছে। সে প্রতিবন্ধী হয়েও মাস্টার্স শেষ করেছে। একই সাথে সে হস্তশিল্পেও সমান পারদর্শী।তিনি বলেন, সে শুধু নিজের জন্য না সমাজে পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য চালাচ্ছে প্রতিবন্ধী স্কুল। তার এই অদম্য সাহসীকতা ও চিন্তাধারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, আমি পুনাকের পক্ষ হতে শাহিদাকে জানায় সালাম। তিনি শাহিদা সম্পর্কে সন্ধান দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমকে ও যশোরের সম্মানিত পুলিশ সুপার কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। আকিজ গ্রুপকে শাহিদাকে চাকুরির ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আকিজ গ্রুপ কে এ ধরনের মানবিক সহযোগিতা আগামী দিন গুলোতে অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানান।
প্রতিবন্ধী শাহিদা বলেন, চাকুরি না পেয়ে আমি হতাশ ছিলাম কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সম্মানিত সভানেত্রী আমাকে চাকুরি সুব্যবস্থা করেছেন। এখন আমি অনেক খুশি কারণ আমার বাবা-মা কে সাহার্য্য করতে পারবো। তবে হাত-পা না থাকলেও মানুষ ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। সেটা আমি সমাজের লোক কে দেখিয়েছি। আশা করবো যারা আমার মত প্রতিবন্ধীও অক্ষম তারা আমাকে অনুসরণ করে লেখাপড়া শিখে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
শাহিদার বাবা রফিউদ্দিন-মা জোহরা বেগম প্রতিবন্ধী মেয়েকে চাকরি ব্যবস্থা করার জন্য অনেক খুশি এবং তারা পুনাক সভানেত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
নিয়োগপত্র প্রদান সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পুনাক সভানেত্রী ডা: ফাতিমা জেসমিন, আকিজ গ্রুপের হেড অব এডমিন আলী সাহাবসহ খুলনা বিভাগীয় পুনাক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।