যশোর অফিস
যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহায়ক সুফিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে এবার সুদে কারবারির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার নওয়াব আলী শেখ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি সুফিয়ার খাতুনের বিরুদ্ধে সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন। আসামি সুফিয়া খাতুন বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহায়ক ছাড়াও যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার হোসেন আলীর মেয়ে।
বাদী মামলায় বলেছেন,বাদীর সাথে আসামি সুফিয়া খাতুনের পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সুবাধে বাদী নওয়াব আলীকে ধর্ম ভাই বলে সম্বোধন করেন। এতে দুইজনের মধ্যে আত্মীয় সম্পর্কের উন্নতি হওয়ায় দুইজনেই দু’জনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। একপর্যায় নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন বলে নওয়াব আলীর কাছ থেকে ২০২০ সালের ১২ জুলাই ১০ হাজার টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন সুফিয়া খাতুন। পাশাপাশি ৫ মাসের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করবে বলে সুদ দেয়ার শর্ত সাপেক্ষে একশ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিপত্র তৈরী করেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয় আগামি ৫ মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করেন না সুফিয়া। পরবর্তীতে একই বছরের ৩০ নভেম্বর ৩ হাজার, ৭ ডিসেম্বর ১০ হাজার, ১৩ ডিসেম্বর ৫ হাজার এবং ১৬ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬শ’ টাকাসহ আরো ১৯ হাজার ৬শ’ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন সুফিয়া। আর এই ১৯ হাজার ৬শ’ টাকার জন্য পূর্বের শর্ত সাপেক্ষে আরো একটি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র তৈরী করা হয়। দীর্ঘদিন হলেও বাদী নওয়াব আলীর ২৯ হাজার ৬শ’ টাকা পরিশোধ না করায় সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের দড়াটানা ক্যান্টিনের সামনে থেকে সুফিয়ার কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন নওয়াব আলী। কিন্তু টাকা ফেরৎ দিবেনা বলে সুফিয়া জানিয়ে দেন নওয়াব আলীকে। বাধ্য হয়ে নওয়াব আলী গতকাল সোমবার আদালতে এই মামলা করেনন। বিচারক আসামি সুফিয়াকে আগামি ২৬ এপ্রিল স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য সুফিয়া বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহায়ক পদে চাকরি করেন। সেই কারণে জমির নামপত্তনসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে এলাকার অনেকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে