যশোর প্রতিনিধি মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ- ২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণ আজ যশোরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিশেষ অতিথি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আশ্রয়ন- ২ প্রকল্প পরিচালক(যুগ্ম সচিব) আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বক্তব্য দেন৷
সিনিয়র সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প গরীব মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়েছে ৷ প্রকল্পটি গৃহহীন মানুষের জন্য শুধু বাসস্থানই নয়, সুপেয় পানি ও সেনিটেশন সুবিধাও দিয়েছে৷ যা আমাদের দেশের এসডিজির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করছে৷ এসব মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া যে কোন সরকারি কর্মকর্তার জীবনে শ্রেষ্ঠ কাজ৷ এতে একটি মানুষের জীবনই পরিবর্তন হচ্ছেনা, তার বংশধরও পরিবর্তন হবে৷ আমরা ভাসমান মানুষকে ঠিকানা দিচ্ছি৷ প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই এ বিষয়ে আদেশ নির্দেশ দিচ্ছেন৷ বাস্তবায়ন করছেন আপনারা৷ এত বড় একটি কাজে যুক্ত হয়েছি৷ এখন সেরাটা দেয়ার সময়৷ আমাদের দায়িত্ব হলো সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ সবাইকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে জেলা উপজেলাকে ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করতে হবে৷
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, ভূমিহীনদের জন্য খাস জমি পাওয়া না গেলে জমি কিনতে হবে৷ কেনা জমিতে ঘর নির্মাণ করে গৃহীহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে৷ কোন আশ্রয়ণের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্যও অর্থ দেয়া হচ্ছে৷
আশ্রয়ন- ২ প্রকল্প পরিচালক(যুগ্ম সচিব) আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, আশ্রয়ণের কাজে জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে৷ স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে৷ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আশ্রয়ণের ঘরের নির্মাণ কাজের প্রতি আলাদা যতœ নেয়ার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ আশা করছি তৃতীয় ধাপেও সকল ঘর সফল ভাবে নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হবে৷
খুলনা বিভাগের ছয়টি জেলা যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক, স্থানীর সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং উক্ত ছয়টি জেলার ৩২ টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণে অংশ নেন৷
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষে অতিথিরা যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়ায় নির্মিত ঘর এবং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাহাবাটি মৌজায় নির্মাণাধীন ঘর ঘুরে দেখেন৷ উল্লেখ্য চাঁচড়ায় একশটি ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ সাহাবাটি মৌজায় এক একর ৭৮ শতক জমি উদ্ধার করে ৭১ টি ঘর নির্মাণ করা হবে৷ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম হবে আশ্রয়ণ ৭১৷#