যশোর অফিস
যশোরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে মারপিটের জখমের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শহরতলীর চাঁচড়া পূর্বপাড়ার মিজানুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২০) গত রোববার স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলো, সদরের সাড়াপোল বাজার এলাকার মফিজুর রহমানের দুই ছেলে আলামিন হোসেন মিলন (২৫) ও নাজমুল হোসেন (২০) এবং মফিজুরের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি আল আমিন হোসেন মিলনের সাথে সুমাইয়া খাতুনের ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে অপর দুই আসামির ইন্ধনে মিলন স্ত্রী সুমাইয়ার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। না দেয়ায় শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে। ঘটনাটি সুমাইয়া তার পিতাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় সাংসারিক মালামালসহ নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরও মিলন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী সুমাইয়ার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। ৩০ ডিসেম্বর সকালে মিলন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামি নাজমুল হোসেন ও জাহানারা বেগমের সহযোগিতায় সুমাইয়াকে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিটে গুরুত্বর জখম করে মিলন। আসামি জাহানারা বেগম চুল ধরে সুমাইয়াকে মাটিতে ফেলে দেয়। নাজমুল হোসেনও এক পর্যায়ে সুমাইয়ার বুকের উপর উঠে পাড়াতে থাকে। সুমাইয়া চিৎকার দিলে মিলন স্ত্রীর সুমাইয়ার মুখে গামছা পুরে দেয়। এরপর এক কাপড়ে যৌতুকের টাকা আনতে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পিতার বাড়ি যাওয়ার পর আহত সুমাইয়াকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সামান্য সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করেন সুমাইয়া