যশোর অফিস
মারপিটের হাত থেকে বোনকে বাঁচাতে নিজেও মারপিটের শিকার হয়েছেন যশোরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডস্থ দ্বীন ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮)। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে একই এলাকার খোরশেদ আলমের বাড়িতে। এই ঘটনায় তিনি কোতয়ালি থানায় ভগ্নিপতিসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, রফিকুলের ভগ্নিপতি সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দারতলা এলাকার মৃত সাহেদ আলী মোল্লার ছেলে নুর হোসেন মোল্লা জনি (৩৫), জানির দুই বোন স্মৃতি বেগম (২৫), রুনা বেগম (২৭) ও তাদের মা মালেকা বেগম (৬০)।
এজাহারে রফিকুল উল্লেখ করেছেন, তার বোন জেসমিন আক্তার সাথীর (৩২) সাথে জনির বিয়ে হয়। জনি নেশায় আসক্ত। এ কারণে প্রায় সময় তার বোনের ওপর নির্যাতন চালাতো। নির্যাতনের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে তার বোন জনিকে তালাক দেয়। পরে ছেলে মেয়েদের কথা চিন্তা করে ফের চলতি বছরের ৩ অক্টোবর তাদের বিয়ে হয়। তারা বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের খোরশেত আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকে। কিছু দিন ভাল থাকার পর ফের সে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রায় সময় তার বোনকে মারপিট করে। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে তিনি বোন-ভগ্নিপতির ভাড়া বাড়িতে যান। সে সময় তার সামনে তার বোনকে মারপিট করে। তিনি ঠেকাতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জনি। এরপর তাকে মারপিটে জখম করে। তার পকেটে থাকা ৫ হাজার ২শ টাকা কেড়ে নেয়। এ সময় অন্যান্য আসামিরাও তাকে মারপিটে জখম করে। ঘটনার সময় তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় তার বোনের মাধ্যমে অভিযোগ করলে পুলিশ তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।