বিশেষ প্রতিনিধি
আগামী ৫ জানুয়ারী বুধবার যশোর সদরের ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর প্রার্থীরা জোরে সোরে নির্বাচনী আচারণ বিধি মেনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে কিছুকিছু প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করলেও নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশ ংকা প্রকাশ করেছেন। তারা নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পুলিশ প্রশাসন ছাড়া কাউকে সমস্যা মনে করছেন না। আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার হলেও তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াইনি। যশোর সদর উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্দ্র প্রার্থী তিনজন নিজেদের বিজয়ীর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে পুলিশ অবস্থান নিলে এখানে অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়াটা মুখ থুবড়ে পড়বে। তার কারণ এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার স্বতন্দ্র প্রার্থী তুহিনের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদেরকে পুলিশ দিয়ে আটকের ব্যাপারে বিভিন্ন গনসংযোগ কালে আওয়ামীলীগের র্শীষ এক নেতা ঘোষনা দেওয়ায় তারা চরমভাবে আতংকের মধ্যে পড়েছে। অপরদিকে, যশোর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অবাধ,নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে যশোরের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে ইতিমধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে শুরু করে সব ক’টি টিমের ইনচার্জগন যশোর সদরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ ,নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত প্রকাশ করেছেন। যোগ্যতার প্রতিযোগীতায় যিনি টিকে থাকবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। এখানে পুলিশের হস্তক্ষেপ করার কোন কারণ নেই বলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান,ইউপি মেম্বর পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্¦ীতায় লিপ্ত হয়েছেন তারা অবাধ,নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারে বলেন পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। নৌকার বিপক্ষে প্রার্থীর কর্মীদের পুলিশ দিয়ে আটকের যে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে তারা জেলা আওয়ামীলীগের নেতার চাকুরী করেন না বলে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। যশোর ১নং হৈবতপুর,২নং লেবুতলা,৩ নং ইছালী,৪ নং নওয়াপাড়া,৫ নং উপশহর, ৬ নং কাশিমপুর,৭ নং চুড়ামনকাটি, ৮ নং দেয়াড়া, ৯ নং আরবপুর,১০ নং চাঁচড়া,১১ নং রামনগর, ১২ নং ফতেপুর, ১৩নং কচুয়া,১৪ নং নরেন্দ্রপুর ও ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্বতন্দ্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ীর ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেছেন। এখন আগামী ৫ জানুয়ারী সকাল থেকে ভোট গ্রহনের শেষ পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা পালা।