যশোর প্রতিনিধি
এবার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীরা জুয়েল (২৮) নামে এক রিকশা চালককে শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের নয়ন কাউন্সিলরের অফিসের সামনে মোটর সাইকেল দিয়ে রিকশা আড় করে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে নগদ ৩৭ শ’ টাকা ছিনিয়ে ছিনিয়ে মারপিট করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে। এ ঘটনায় রিকশা চালক বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের ছোন মনি ওরফে আব্দুল হামিদের ছেলে হাদিউজ্জামান ওরফে মানিক, একই সড়কের জনৈক হাবিবুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া জহুর আলীর ছেলে রফিকসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি তমালতলার আতিয়ার মোড়লের ছেলে জুয়েল বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত সোয়া ১২ টায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি একজন রিকশা চালক। মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় জুয়েল রিকশা চালিয়ে যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের নয়ন কাউন্সিলরের অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্র হাদিউজ্জামান ওরফে মানিক ও রফিক তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল চালিয়ে জুয়েলের রিকশার সামনে আসে এবং আড়াআড়ি করে রিকশার গতিরোধ করে। ওই সময় আশপাশে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামীরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা জুয়েলকে ঘিরে ধরে তাদের থাকা চাকু দিয়ে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে। আসামীরা রিকশা চালকের রিকশা আটকে রেখে তাকে শংকরপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকে এবং খুন জখমের ভয় ভীতি দেখিয়ে জুয়েলের কাছে চাঁদা স্বরুপ ১০ হাজার টাকা দাবি করে। জুয়েল চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জুয়েলকে এলোপাতাড়ী মারপিট পূর্বক কাছে থাকা নগদ ৩ হাজার ৭শ’ টাকা চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা আরো চাঁদা নেওয়ার জন্য জুয়েলের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে জুয়েলকে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাদির স্ত্রী ও মায়ের কাছে চাঁদা স্বরুপ ১০হাজার টাকা দাবি করে। বাদি কৌশলে ডাক চিৎকার দিলে আশে পাশে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদিকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়।#