গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চার-পাঁচ বছর ধরে হৃদয় গমেজ এবং ইভানা রোজারিও মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা দুই পরিবারই জানতো। প্রেমিক হৃদয় গমেজ ব্র্যাকে চাকরী করতেন এবং প্রেমিকা ইভানা রোজারিও ঢাকার উত্তরার একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিল।
বুধবার সকালে হৃদয়ের মা নিজ প্রয়োজনে স্থানীয় ভূমি রেজিষ্ট্রি অফিসে যান। এসময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে হৃদয় গমেজ তার প্রেমিকা ইভানা রোজারিওকে ডেকে নেন। সারা দিন তারা ওই বাড়িতেই ছিলেন। রাত ৮ টার দিকে হৃদয় গমেজের মা বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলে কোন সারা-শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে ঘরের মেঝেতে দুইজনের মরদেহ দেখতে পান।
এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা বন্ধ পেয়ে দেয়াল টপকে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে প্রেমিকার উপর প্রেমিকের মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রেমিক হৃদয়ের পেটে এবং প্রেমিকা ইভানার গলায় ছুরিকাঘাত করা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে মরদেহ পরে রয়েছে। মৃত হৃদয়ের হাত থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যার কোন এক সময়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হৃদয় নিজের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন আছে।