যশোরে ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরির প্রধান আসামীসহ তিনজন গ্রেফতার দুই জনের জবানবন্দী

যশোর প্রতিনিধি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ও ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার পিবিআইয়ের অব্যাহত অভিযানে নাভারণ ক্লিনিক হতে নবজাতক চুরির সাথে জড়িত তিন সদস্য আটক হয়েছে। গ্রেফতার কৃতরা হচ্ছে, ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ গ্রামের শাহীনের স্ত্রী মোসাঃ নাছিমা খাতুন, ঝিকরগাছা উপজেলার রায়পটন গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে সাজু ও বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তর্গত বিত্তি আঁচড়া গ্রামের সুজন হোসেনের ছেলে রিংকু চক্রবর্তী ওরফে রিংকু।
পিবিআই সূত্রে জানাগেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঝিকরগাছা উপজেলার মধুখালী গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ রেকসনা খাতুন শার্শা থানাধীন উত্তর বুরুজ বাগান গ্রামের নাভারণ ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টা বেজে ২০ মিনিটের মধ্যে সকলের অগোচরে ক্লিনিকের বিছানা থেকে ১ দিনের নবজাতক শিশু মেয়ে চুরি হয়। উক্ত সংক্রান্ত যশোর জেলার শার্শা থানায় মামলা হয়। যার নং ১৪,তারিখ ৮/৯/২১ ধারা, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০(২)। উক্ত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় অভিযান চালিয়ে শিশু চুরির সাথে জড়িত নাছিমা খাতুন, সাজুকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে নবজাতক চুরির সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত রিংকু চক্রবর্তীকে তার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে পিবিআই এরদল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঘটনার দিন রিংকু চক্রবর্তী ও সাজু উক্ত ক্লিনিক হতে নবজাতক চুরি করে নাসিমা খাতুনের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এর পর গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নাছিমা খাতুন ও সাজুদ্বয়কে বুধবার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাইফুদ্দিন হোসাইনের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বেচ্ছায় চুরির বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারকৃত তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করেন।