মাধঘোপা নিউজ ডেস্ক: যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে আমরা আজ একটা মানচিত্র পেতাম না, পতাকা ও জাতীয় সংগীত পেতাম না; আর শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোট ও ভাতের অধিকার এবং একটা মর্যাদাশীল দেশ পেতাম না।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করার সংগ্রামে নেমেছিলেন। তিনি বলেন, সকল দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে রাত-দিন সংগঠনের পেছনে সময় দিতেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি সমগ্র দেশ সফর করে বেরিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং জাতির পিতার হত্যার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করতে হয়েছে উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, পুড়ে পুড়ে খাঁটি হয়েছেন তিনি। তার জীবনের সংগ্রাম এবং স্বজন হারানোর অভিজ্ঞতা তাকে শুধু একজন ত্যাগী জননেত্রী হিসেবেই সৃষ্টি করেনি, বিশ্বের একজন অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত দেশে কী করেছে? জঙ্গিবাদের উত্থান, বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, কৃষকের ওপর অত্যাচার, সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার, সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ওপর অত্যাচার, রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি, মৌলবাদের উত্থান থেকে শুরু করে নৌকার ভোটারদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ইতিহাস কারও অজানা নয়।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রসঙ্গে শেখ পরশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্যের কথা, অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা এবং সামাজিক অবিচারের কথা। বৈশ্বিক অঙ্গীকারের উদাহরণস্বরূপ তিনি টিকার ন্যায্য হিসসা এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবিচারের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ আজ দ্রুত বর্ধমান পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে একটি। বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি কয়েকটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- টিকা বৈষম্য দূরীকরণ, সবার জন্য ন্যায়সংগত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা পাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা, প্রবাসী ও অধিবাসীদের অধিকারের কথা, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন।
সভায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।